নয়া দিল্লি : প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ফের মুখোমুখি ভারত-চিন সেনা। এবার অরুণাচলপ্রদেশের সেক্টরে। দুই দেশের সেনাবাহিনী টহলদারির সময় এক জায়গায় মুখোমুখি চলে আসে। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে উভয় দেশের বাহিনী মুখোমুখি চলে এসেছিল। প্রোটোকল অনুযায়ী দুই স্থানীয় কমান্ডারের মধ্যে আলোচনার পর উভয় দেশের জওয়ানদের সরিয়ে নেওয়া হয়।


সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর , জওয়ানরা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে বেশ কয়েক ঘণ্টা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলেন। সংখ্যায় চিনের জওয়ানদের থেকে বেশি ছিল ভারতীয় বাহিনী। এই টানাপোড়েনে কোনও পক্ষেরই কোনও ক্ষতি হয়নি। প্রসঙ্গত, যেহেতু ভারত-চিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি, তাই উভয় দেশের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে নিজস্ব ধারণা রয়েছে। সেই অনুযায়ী চলে টহলদারি। 


উল্লেখ্য, গত বছর, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে চিনা ফৌজের হামলার পর থেকেই লাদাখের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছিল। এরপর থেকে লাদাখকে ঘিরে লাগাতার দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। তবে লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৈরি ভারত সেনা। পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে এম-৭৭৭ ও কে নাইন বজ্র হাউইৎজার কামান। নিয়মিত চলছে মহড়া। 


এক মাস আগে পূর্ব লাদাখের গোগরায় টহলদারি পয়েন্ট ১৭-এ থেকে সেনা সরিয়েছিল ভারত ও চিন। সরকারি সূত্রে খবর, দু’দেশের আলোচনার ভিত্তিতে যৌথ সম্মতিক্রমে গোগরা থেকে সেনা সরানো হয়েছে। দু’দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়। 


সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘কমান্ডারদের বৈঠকে সেনা সরানোর বিষয়ে রাজি হয় ভারত ও চিন। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সেনা সরানোর বিষয়টি যাচাই করতে রাজি হয় দু’দেশ। পর্যায়ক্রমে গোগরা প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৭ এ থেকে সেনা সরানো হয়। ৪ ও ৫ অগাস্ট গোগরা থেকে সেনা সরানো হয়েছে। দু’দেশের সেনাবাহিনীই স্থায়ী জায়গায় ফিরে গিয়েছে।’