নয়াদিল্লি : ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনার পারদ আরও চড়ল। কানাডার রাজধানী ওট্টাওয়ায় থাকা শীর্ষ দূতকে ডেকে নেওয়ার পাশাপাশি কানাডার ছয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল নয়া দিল্লি। তাঁদের শনিবার ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে বলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যার তদন্তে কানাডায় দায়িত্বে থাকা ভারতীয় হাই কমিশনার এবং আরও কয়েকজন কূটনীতিকের 'স্বার্থ থাকতে পারে', এই অভিযোগ তোলে ওট্টাওয়া। এর জবাবে প্রাথমিকভাবে, ভারত  হাই কমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা ও কানাডায় থাকা অন্যান্য কূটনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয়। 


এর কিছু পরেই, আরও কড়া পদক্ষেপেরে কথা ঘোষণা করা হয় মোদি সরকারের তরফে। ছয় কানাডিয়ান কূটনীতিককে নয়া দিল্লি থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এই তালিকায় রয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত হাই কমিশনারও। চলতি সপ্তাহের শেষের মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।


 






এদিন শুরুতে এক বিবৃতি জারি করে কানাডায় থাকা ভারতীয় হাই কমিশনারকে প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে দেয় নয়াদিল্লি। তাতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক উল্লেখ করে, চূড়ান্তবাদী ও হিংসার পরিবেশে, ট্রুডো সরকারের কার্যকলাপ কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে বিপদে ফেলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বর্তমান কানাডা সরকারের অঙ্গীকারের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। তাই, ভারত সরকার হাই কমিশনার এবং যেসব কূটনীতিক ও আধিকারিকদের টার্গেট করা হচ্ছে তাঁদের ডেকে নিচ্ছে। 


নিজ্জর। ১৯৯৭ সালে কানাডায় কানাডায় চলে যান। ২০১৫ সালে সেখানে নাগরিকত্ব নেন। বরাবর তিনি বিচ্ছিন্ন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে লড়াই চালিয়েছেন। যার নামকরণ করা হবে খলিস্তান। সন্ত্রাস ও খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁকে হাতে পেতে চাইছিল ভারত। গত বছর জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় সুরেতে গুলি করে খুন করা হয় নিজ্জরকে। এরপর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেন, কানাডার মাটিতে হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যায় হাত থাকতে পারে ভারত সরকারের এজেন্টের। এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় ভারত। তারপর থেকেই গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নয়াদিল্লি ও ওট্টাওয়ার মধ্যে কৃটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরতে থাকে।