নয়াদিল্লি: যে কোনও ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে ভারত (Union Health Ministry Monitoring H9N2 outbreak), পড়শি চিনে 'অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা'-সহ (China Pneumonia Outbreak) একগুচ্ছ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের (Cluster Of Respiratory Illness) বাড়বাড়ন্ত দেখে আশ্বস্ত করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রের বক্তব্য, চিনে শিশুদের মধ্যে যে ভাবে H9N2 এবং শ্বাসযন্ত্র-জনিত একাধিক সংক্রমণ দাপট দেখাচ্ছে, তার উপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত চিন্তার কোনও কারণ নেই। বরং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের আশ্বাস, 'অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা'-সহ শ্বাসযন্ত্রের যে ধরনের সংক্রমণ চিনা প্রশাসনের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে, তাতে ভারতের চিন্তার সে রকম কিছু নেই। তা বলে ঢিলেমি দেওয়ার কোনও জায়গা থাকছে না। 


যা হল...
কোভিড-১৯ অতিমারির স্মৃতি এখনও টাটকা। পশ্চিমি দুনিয়ার বহু দেশ নভেল করোনাভাইরাসের আঁতুরঘর হিসেবে বার বার চিনের দিকে আঙুল তুলেছে। এই নিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও নেহাত কম নয়। তবে এটিও সত্যি যে এই সমস্ত তত্ত্বের স্বপক্ষে অকাট্য প্রমাণ এখনও অধরা। প্রত্যাশিত ভাবে চিনও কোনও দিন এই দাবি মানতে চায়নি। যদিও গোড়ার দিকে নভেল করোনাভাইরাসের দাপট যে চিনেই শুরু হয়েছিল, তা মোটামুটি স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে চিনের বর্তমান সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। বিষয়টি নিয়ে ঢিলেমি দিতে চায়নি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। ইতিমধ্যে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেসের চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে একটি বৈঠক সেরেছে। H9N2-জনিত সংক্রমণ মোকাবিলায় আমাদের দেশ কতটা তৈরি, তা খতিয়ে দেখতেই এই পর্যালোচনা বৈঠক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাওয়া তথ্য বলছে, মানবশরীর থেকে মানবশরীরে এই ভাইরাস ( অন্য নাম অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস) সংক্রমণের আশঙ্কা বেশ কম। সংক্রমণ হলেও তাতে মৃত্যুহারও নিচের দিকে। তা সত্ত্বেও মানুষ, গবাদি পশু এবং বন্যপ্রাণীদের উপর নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি...
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে জানানো হয় জনস্বাস্থ্যের দিকে জোর দিকে 'ওয়ান হেলথ' জাতীয় সার্বিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে অতিমারীর সময় দেশে যে ভাবে স্বাস্থ্য় পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দাবি করা হয় যে প্রাথমিক, মাঝারি ও সর্বোচ্চ স্তরে, পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য় পরিষেবা শক্তিশালী করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে এই বার্তাও স্পষ্ট দেওয়া ছিল যে, জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে ভারত। তবে এখনই সেরকম কোনও আশঙ্কা নেই। 


আরও পড়ুন:ছোটপর্দায় প্রসেনজিতের গুরুদায়িত্ব, প্রকাশ রাজকে তলব ED-র, বিনোদনের সারাদিন