নয়া দিল্লি: দেশে অনেকটাই স্বস্তি। করোনা আতঙ্ক পুরোপুরি না কমলেও অনেকটাই কমেছে সংক্রমণ। শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ কমলেও, ফের বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৫ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯৩৮।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬৭। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৫৫ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৭২। আপাতত দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.০৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৮২ কোটি ৫৫ লক্ষ্যের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন সাড়ে ২৯ লক্ষের বেশি। দেশজুড়ে চলছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ।
চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি হঠাৎই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে আমেরিকা, জার্মানি এবং ভিয়েতনামেও। এদিকে, ভারতে গত কয়েকদিন ধরে করোনা পরিসংখ্যান ক্রমাগত ওঠা-নামা করছে। এসব দেখেই অনেকের সেই করোনার প্রথম ঢেউয়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, সেবারের মতো এবারও চিনের পর ভারতে হু হু করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করবে না তো? এদিকে, ডেল্টা, ডেল্টাপ্লাস গিয়েছে। তারপর পৃথিবীজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ওমিক্রন (omicron)। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি সব স্ট্রেনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হলেও ডেল্টা (delta) বা ডেল্টাপ্লাসের তুলনায় তেমন মারণক্ষমতা ছিল না ওমিক্রনের। ওমিক্রনের একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজও মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (world health organization) এবং একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বারবার সতর্ক করেছেন যে ওমিক্রনের পরে যে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট আসবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেই আশঙ্কার কথাই ফের আরও একবার উস্কে দিলেন ইংল্যান্ডের মহামারি বিশেষজ্ঞ (epidemiologist)।