ট্রাম্প ভারতে এসে দিল্লির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতের আমদাবাদেও যাবেন। গত বছর মোদির আমেরিকা সফরে হিউস্টনে আয়োজিত ‘হাউডি মোদি’র ধাঁচে আমদাবাদের একটি স্টেডিয়ামে ভাষণও দেবেন দুজনে। ওভাল অফিসে ট্রাম্প গতকাল সাংবাদিকদের সামনে মোদির সুখ্যাতি করে বলেন, উনি দারুণ ভদ্রলোক। আমি ভারত যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। এ মাসের শেষে আমরা যাব।
মোদি এরই প্রতিক্রিয়ায় ট্যুইটে লেখেন, ভারত এবং আমেরিকার গণতন্ত্র, বহুত্ববাদের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমাদের দুটি দেশ ব্যাপক প্রসারিত ইস্যুতে পরস্পরকে বিরাট সহযোগিতা করছে। আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব চাঙ্গা হওয়া শুধু আমাদের নাগরিকদের নয়, গোটা দুনিয়ার জন্য শুভ ব্যাপার।
এক প্রশ্নের উত্তরে যদি সেটি সঠিক হয়, তবে ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সই করতে আগ্রহী বলেও ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। বলেন, ওরা (ভারতীয়রা) কিছু করতে চায়, আমরা দেখব। যদি ঠিকঠাক রফা হয়, তবে করব।
গত ৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী মোদি আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিজেদের মধ্যে দারুণ রসায়ন তৈরি হয়েছে, গত বছর আমেরিকানিবাসী ভারতীয়দের জন্য হাউস্টনের অনুষ্ঠানসহ চারবার তাঁদের দেখা হয়েছে। চলতি বছরে দুবার ফোনে কথা বলেছেন তাঁরা, সর্বশেষ গত সপ্তাহান্তে। ভারত সফর নিয়ে গত মঙ্গলবারই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, এইমাত্র কথা হল প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে।
মোদির সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতারও প্রসঙ্গও তোলেন ট্রাম্প যাতে মোদি সম্ভবত তাঁকে বলেছিলেন, শয়ে-শয়ে, হাজারে হাজারে ভারতবাসী তাঁকে আমদাবাদে স্বাগত জানাবেন। মজা করে ট্রাম্প বলেন, উনি (মোদি) বলেছেন, অগণিত মানুষ আসবেন। আমার একমাত্র সমস্যা হল, গত রাতেই বোধহয় ৪০-৫০ হাজার লোক ছিলেন। আমি খুব একটা খুশি হব না। শুধু বিমানবন্দর থেকে নতুন স্টেডিয়াম (আমদাবাদে) পর্যন্তই ৫ থেকে ৭ লক্ষ লোক আসবে। আপনারা তো জানেন, ওটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, যেটাৈ মোদি বানাচ্ছেন। এর কাজ প্রায় শেষ।
প্রসঙ্গত, আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আমদাবাদে মোতেরা স্টেডিয়াম তৈরি হচ্ছে।