আইজল: অসম-মিজোরাম সীমান্ত কিছুটা শান্ত হলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এমনকী এই ঘটনা নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামে এফআইআর দায়ের করল মিজোরাম পুলিশ। খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে। 


এই মামলায় অসম পুলিশের চার শীর্ষ কর্তা, দুই আমলা এবং ২০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে। মিজোরামের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (হেডকোয়ার্টার) জন নেহলাইয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। 


জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন এবং মিজোরাম কনটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অব কোভিড-১৯ অ্যাক্ট ২০২০-তে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে,  অসম পুলিশের আইজিপি-র নেতৃত্বে ২০০ জনের সশস্ত্র দল জোর করে পুলিশ ক্যাম্প দখল করতে এসেছিল। তা থেকেই সংঘর্ষ তৈরি হয়।


এদিকে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন যে মিজোরামের নাগরিকরা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। সেজন্য অসমবাসীকে প্রতিবেশী রাজ্যে ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন যে ভ্রমণে বাধা নেই কিন্তু যেভাবে সেখানকার মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন তা চিন্তার। 


অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও মিজোরামের জোরামথাঙ্গা দুজনেই জানিয়েছেন এই পরিস্থিতি বজায় থাকুক তারা চান না। তবে গুলি চালানোর ব্যাপারে মিজোরামের অভিযোগ নসাৎ করেছে অসম।এদিকে শুক্রবার সকালেই নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের মিজোরাম যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অসম সরকার।


উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বিবাদের মাঝেই অসম ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে বলেছিলেন। এর পর সোমবার অসম ও মিজোরামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সীমানায় গোলা-গুলি, এমনকী সরকারি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনাও ঘটে।