নয়াদিল্লি: ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ট্রায়ালের ছাড়পত্র পেল কোভ্যাক্সিন। বৃহস্পতিবার, কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ভারত বায়োটেককে এই অনুমোদন দিয়েছে দেশের ওষুধ ও ভ্যাকসিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিসিজিআই। জানা গিয়েছে, ৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর হবে প্রয়োগ।


দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন। তার জেরে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের চাহিদা বাড়ছিল। এরপরই ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর কোভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করার ছাড়পত্র পেয়েছে ভারত বায়োটেক।


মঙ্গলবার, সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের আওতাধীন কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (এসইসি)  ভারত বায়োটেকের বিষয়ে বৈঠক করে। সেখানে, হায়দরাবাদের সংস্থার আবেদনকে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


এর আগে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারত বায়োটককে নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছিল এই কমিটি। সেই অনুযায়ী, ২-১৮ বয়সীদের জন্য তৈরি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করার আবেদন করে ভারত বায়োটেক। 


কীভাবে এই কাজ হবে তার প্রটোকল জানাতে বলা হয়েছিল সংস্থাকে। উল্লেখ্য, আইসিএমআর-এর সহযোগিতায় ভারত বায়োটেকে তৈরি করছে কোভ্যাকসিন। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে এই সংস্থা।


জানা গিয়েছে, দেশের একাধিক জায়গায় এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা এইমস, দিল্লির এইমস এবং নাগপুরের মেডিট্রিনা ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স।


বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য় তৈরি কোভ্যাক্সিন সরাসরি ১৮টি রাজ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, বিহার, গুজরাত, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ। 


ভারতে ফের ভয়ঙ্কর করোনা। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আবারও চার হাজার ছাড়াল। বাড়ল দৈনিক সংক্রমণও। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৭২৭ জন।   দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৫।  


ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১২০ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩১৭ জনের।