Madhya Pradesh: প্রেমে পড়লে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। আর এমনই একটা ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। নিজের প্রেমিকার সঙ্গে থাকার জন্য এক তরুণ লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন। এ জন্য চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল। শেষপর্যন্ত বাবা-মা জানতে পেরে তাঁকে বোঝান। এরপর ওই যুবকের লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা মাঝপথেই বন্ধ করতে হয়েছে। আর এই কারণে ওই তরুণের শরীরে পুরুষ ও স্ত্রী-উভয়েরই হরমোন রয়েছে। ৩২ বছরের ওই তরুণ পরিবারের একমাত্র সন্তান। তাঁর বাবা ক্লাস ওয়ান অফিসার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন।
ওই যুবক দিল্লির একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। সেখানে এক বিধবা মহিলার প্রেমে পড়ে যান তিনি। কিন্তু ওই মহিলা তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হননি। এ জন্য তাঁর সঙ্গে থাকতে ওই যুবক লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসার প্রথম ধাপে তাঁর শরীরে হরমোন সংক্রান্ত পরিবর্তন আসে। তিনি মেয়েদের মতো ব্যবহার করতে থাকেন। তাঁর আচরণের এই আচমকা পরিবর্তন বাড়ির লোকজনের নজরে ধরা পড়ে। এরপরই তাঁরা সবকিছু জানতে পারেন।
এরপরই ওই তরুণের বাবা-মা ভোপালের অ্যাডভোকেট তথা কাউন্সিলর সরিতা রাজানির কাছে যান। তাঁরা রাজানিকে জানান যে, প্রায় দেড় মাস ধরে তাঁদের ছেলের মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ও একলা কাঁদে, রেগে থাকে এবং কথায় কথায় মেজাজ হারায়।
বাবা-মায়ের কথা শুনে অ্যাডভোকেট রাজানি ওই যুবক ও মহিলার কাউন্সেলিং করেন। আপাতত ওই তরুণের লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সেলিংয়ের সময় ওই যুবক জানান যে, তাঁর সঙ্গে ৩০ বছরের ওই মহিলা কাজ করছেন। মহিলার স্বামী প্রায় দুই বছর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁর একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। ওই যুবকের সঙ্গে মহিলার প্রথম আলাপ হয় মাস ছয়েক আগে। মহিলা তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যেতে চাইতেন না। তিনি একলা থাকতেন। সেখান থেকেই দুজনের বন্ধুত্বের সূত্রপাত। তারপর ওই যুবক মহিলার প্রেমে পড়ে যান এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হননি ওই মহিলা। তিনি জানান, তাঁর স্বামী তাঁকে খুবই ভালোবাসতেন। তাঁর সবকিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতেন। তিনি তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারবেন না। এরপরই ওই যুবক লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।