নয়াদিল্লি:  বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণার পর সংসদে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিল অনুমোদিত হয়েছে। কৃষকদের অন্যান্য দাবি নিয়েও আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস কেন্দ্র দেওয়ার পর প্রত্যাহার করা হয়েছে কৃষক আন্দোলন। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলার পর এবার কৃষকদের ঘরে ফেরার পালা। ঘর ওয়াপসি-র প্রস্তুতি চলছে কৃষকদের। বৃহস্পতিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর থেকে শুরু হয়েছে দিল্লি সীমা এলাকাগুলি থেকে তাঁবু গোটানোর কাজ। এই জায়গাগুলিতেই গত প্রায় এক বছর আন্দোলনে বসেছিলেন তাঁরা। কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, প্রতি মাসের ১৫ তারিখে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বৈঠক হবে। শুক্রবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে আমাদের সহমতি হয়েছে। এরপর আমরা আন্দোলন স্থগিতের কথা জানিয়েছি। কিছু দুঃখ ও কিছু খুশি নিয়ে ধীরে ধীরে কৃষকরা গাজিপুর সহ অন্যান্য বর্ডার থেকে বাড়িতে ফিরবেন। 


রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, যে জওয়ানরা শহিদ হয়েছেন, সেজন্য মনে দুঃখ রয়েছে। আমাদের কৃষকরাও শহিদ হয়েছেন। কয়েকটি ইস্যু, যেগুলি বকেয়া থাকবে, সেগুলি নিয়ে জানুয়ারিতে দিল্লিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বৈঠক হবে। 


ধীরে ধীরে কৃষকরা বাড়িতে ফিরবেন। সব শেষে গাজিপুর সীমায় থাকা কৃষক আন্দোলনকারীরা ঘরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ১২ তারিখে কৈরানায় বৈঠক হবে। এরপর অমৃতসর-চণ্ডীগড় থেকে ১৫ তারিখ শেষ জাঠা গাজিপুর বর্ডার থেকে যাবে। রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, আন্দোলন চলেছে এক বছর ১৩ দিন। সরকারের সঙ্গে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) নিয়ে কমিটি তৈরি হবে। এতদিন একসঙ্গে কৃষকরা সমস্ত উৎসব-পর্ব পালন করেছেন।এতে একটা আত্মীয়তার বন্ধন তৈরি হয়েছে। 


আগামী দিনে সরকারের সঙ্গে কোন বিষয়ে আলোচনা হবে, তাও জানিয়েছেন রাকেশ টিকায়েত। তিনি বলেছেন, আগামী দিনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকবে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে আখের দাম নিয়েও আলোচনা হবে।