নয়াদিল্লি: দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তগ্রহণ হয়নি। জানিয়ে দিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)।
বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের একাংশে বলা হচ্ছে যে সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কিন্তু, আমরা জানিয়ে দিতে চাই যে, এখনও এই মর্মে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা সকলের কাছে প্রকাশ করা হবে।
একই কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রেকর তরফেও। সিবিএসই-র মতো মন্ত্রকও জানিয়ে দিয়েছে, পরীক্ষা বাতিলের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
মন্ত্রক জানিয়েছে, বিগত কয়েকদিনে পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবক-- সকলেই সঠিক তথ্য জানতে চেয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে, বিভ্রান্তি দূর করতে এই বক্তব্য তুলে করা হল। মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ২৫ তারিখ।
দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের জেরে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা আপাতত হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ১ জুন থেকে মাধ্যমিক শুরু হওয়ার কথা ছিল। ১০ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা পিছোচ্ছে না বাতিল? সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় পর্ষদ।
এর আগে, গত ২০ এপ্রিল, দশম শ্রেণির সর্বভারতীয় বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করে দেয় আইসিএসই। এর আগে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাগ্রহণ পরে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল আইসিএসই।
গত ১৬ তারিখ, বোর্ডের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, দশম শ্রেণির আইসিএসই পরীক্ষা এবার ঐচ্ছিক হবে। অন্যদিকে, দ্বাদশ শ্রেণির আইএসসি-র পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু চারদিন পর দশম শ্রেণির পরীক্ষা একেবারে বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এর ঠিক দুদিন আগে, ১৪ তারিখ, সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে কেন্দ্র। ৪ মে থেকে সিবিএসই দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৪ জুন।
কিন্তু, করোনা ভারতে ভয়ঙ্কর আকার নেওয়ায়, সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, রাহুল গাঁধী, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। করোনার হাত থেকে পড়ুয়াদের আড়াল করতে পরীক্ষা বাতিলের অনুরোধ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও।
এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকেই দশম শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।