নয়াদিল্লি: পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিতর্কের মুখে পিছু হঠল Central Board of Secondary Education (CBSE)। বিবৃতি দিয়ে দশমের ইংরেজির বিতর্কিত প্রশ্ন প্রত্যাহার করল CBSE। নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই প্রশ্ন হয়নি, কাজেই পুরো নম্বর পড়ুয়াদের দেওয়া হবে বলেই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় বোর্ড (Uninon Board)।


সিবিএসসি বোর্ডের (CBSE Board) দশম শ্রেণির প্রশ্ন, তা নিয়েই দেশজুড়ে বিতর্ক। সংসদে শোরগোল! চাপের মুখে পড়ে পিছু হঠল Central Board of Secondary Education। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে CBSE জানিয়েছে, দশম শ্রেণির ওই প্রশ্নপত্র বোর্ডের নির্দেশিকা মেনে তৈরি হয়নি। তাই ওই প্রশ্ন বাতিল করা হচ্ছে। তার জন্য পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ নম্বর দেওয়া হবে। 


বিতর্কের সূত্রপাত, CBSE দশম শ্রেণির ইংরেজির প্রশ্নপত্র ঘিরে। গত ১১ ডিসেম্বর প্রথম সিমেস্টারের ওই পরীক্ষায় একটি প্যাসেজ থেকে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হয়। প্যাসেজে বলা হয়, স্ত্রী-রা যদি স্বামীর কথা শোনেন বা মেনে চলেন, তবে ছেলেমেয়েরাও বাধ্য হবে। স্ত্রী-রা স্বামীর কথা না শুনলে সন্তান এমনকী, পরিচারকেরাও কারও কথা শোনে না। উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে সিবিএসসির দশম শ্রেণির পরীক্ষা। শেষদিন ছিল ইংরাজি সাহিত্য ভাষার পরীক্ষা।


ওই প্রশ্নপত্র ঘিরে দেশজুড়ে নারীবিদ্বেষের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদে সরব হয় রাজনৈতিক মহলও। তালিকায় রয়েছে কংগ্রেস। CBSE ও প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ট্যুইট করেন, অবিশ্বাস্য! আমরা কি সত্যিই শিশুদের এই সব শেখাচ্ছি? এখানেই স্পষ্ট, মহিলাদের সম্পর্কে বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গী। না হলে কেন সেগুলি CBSE-র পাঠ্যক্রমের অংশ হবে?


কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, CBSE-র এবারের পরীক্ষার বেশিরভাগ প্রশ্ন কঠিন। ইংরেজি পরীক্ষার কম্প্রিহেনশন সব থেকে নিন্দনীয়। যুব সমাজের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে আরএসএস-বিজেপির এই চক্রান্ত। কচিকাঁচারা, তোমার সেরাট দিয়ে চেষ্টা করো। কঠোর পরিশ্রমই সাফল্য দেয়, ধর্মান্ধতা নয়। 


এই নিয়ে সোমবার সংসদে নিন্দায় সরব হন সনিয়া গান্ধী। কিছুদিন আগে UPSC-র পরীক্ষায় বাংলার ভোট-সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক হয়। এবার বিতর্ক সিবিএসই-র প্রশ্ন ঘিরে।এবিষয় কেন্দ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বিতর্কের মুখে শেষমেশ প্রশ্ন বাতিল করল কেন্দ্রীয় বোর্ড।