মোহালি : ছাত্রীদের কোনও আপত্তিকর ভিডিও (Objectionable Video) করা হয়নি। বিতর্কের মধ্যেই এই দাবি করল চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্য়ালয় (Chandigarh University) কর্তৃপক্ষ। তবে, এক ছাত্রী তাঁর নিজের ভিডিও প্রেমিকের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।


এক বিবৃতিতে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-চ্যান্সেলর আরএস বাওয়া বলেন, সাত ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু, সত্যিটা হল, কোনও ছাত্রীই এরকম কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাছাড়া কোনও ছাত্রীকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়নি। তাঁর সংযোজন, একাধিক ছাত্রীর প্রায় ৬০টি এমএমএস পাওয়া গেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক তদন্তে কোনও ছাত্রীর কাছে এরকম কোনও ভিডিও পাওয়া যায়নি। তবে, এক ছাত্রী ব্যক্তিগত ভিডিও করে নিজের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তা শেয়ার করেছিলেন।   


আরও পড়ুন ; ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও 'লিক', গ্রেফতার অভিযুক্ত ; তদন্তের নির্দেশ পাঞ্জাব সরকারের


আপত্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ?


অভিযোগ ওঠে, এক ছাত্রী ওই বিশ্বিবিদ্যালয়ের হস্টেলের তাঁর সহপাঠীদের ভিডিও করে হিমাচল প্রদেশের শিমলার এক ব্যক্তির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেই ব্যক্তি আবার ইন্টারনেটে তার এমএমএস ক্লিপ আপলোড করে। কয়েকজন ছাত্রী সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের স্নানের ভিডিও দেখে চমকে ওঠেন ! তা আবার অনলাইনে ঘোরাঘুরি করাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে এক ছাত্রী তাঁর স্নানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর ছড়ায়। যদিও এ ধরনের কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করে পুলিশ। তবে শুধু ওই ছাত্রীই নয়, আরও কয়েকজন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে খবর ছড়ায়। চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ সম্পর্কিত এক অফিসার বলেন, কেউ আত্মহত্যা করেননি। শুধুমাত্র একজন মূর্ছা গিয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাঁর পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। ঘটনার কথা সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চে জানানো হয়েছে। 


স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ারের অধিকর্তা অরবিন্দর সিং কঙ্গ আবার বলছেন, এই ধরনের কোনও ভিডিও লিক হয়নি। কিন্তু, যেহেতু ছাত্রীরা সন্তুষ্ট নয়, তাই পুলিশকে ডাকা হয় বলে জানান তিনি। 


সামগ্রিক ঘটনার প্রতিবাদে মোহালির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। এর জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁরা অভিযোগ জানান, ছাত্রীদের স্নানের ভিডিও করে তা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই অনেক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি পাঞ্জাব সরকার এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী গুরমীত সিং মিত হায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন।