নয়াদিল্লি: ভিভিআইপি বন্দি। সংশোধনাগারেও সব সময় চর্চার কেন্দ্রে থেকেছে। তার জীবনের পরতে পরতে নাটকীয়তা। আর যদি আচমকা শোনা যায়, করোনা তার প্রাণ কেড়েছে, হইচই তো পড়বেই। ঠিক সেটাই হল শুক্রবার। দুপুরে আচমকাই খবর ছড়িয়ে পড়ল যে, করোনায় মৃত্য়ু হয়েছে কুখ্যাত মাফিয়া ছোটা রাজনের। সংবাদসংস্থা এএনআই-ও সেই খবর ট্যুইট করে। যা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। কিন্তু নাটকের তখনও বাকি ছিল। কিছুক্ষণ পরেই যে হাসপাতালে ছোটা রাজন ভর্তি ছিল, সেই দিল্লির এইমস মৃত্যুর খবর অস্বীকার করে। দিল্লি পুলিশও মৃত্যুর খবর উড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ছড়াল সর্বত্র।


করোনা অতিমারি ক্রমশ ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে দেশে। সংক্রমিত হয় তিহার জেলে বন্দি ছোটা রাজনও। ২৬ এপ্রিল থেকে দিল্লির এইমসে ভর্তি ছিল রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজে ওরফে ছোটা রাজন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার একাধিক অঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করছিল না। চিকিৎসায় আশানুরূপ সাড়া দিচ্ছিল না রাজন। শুক্রবার দুপুরে আচমকাই খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজনের। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। পরে এইমস কর্তৃপক্ষ ও দিল্লি পুলিশ সেই খবর অস্বীকার করে।


২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজনকে। ’ডি-কোম্পানি’র হিট লিস্টে ছিল রাজন। একাধিকবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ তথা অন্যতম সেনাপতি ছোটা শাকিল। করাচি থেকে রাজনের নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল দাউদ। ২০১৮ সালে সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে হত্যাকাণ্ডে রাজন-সহ ৯ জন দোষীর যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনায় আদালত। তারপর থেকেই দিল্লির তিহার জেলে রাখা হয়েছিল তাকে। জানা যায়, দাউদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে-র। সেই সন্দেহ করেছিল ছোটা রাজনও। দাউদের নির্দেশেই তার বিরুদ্ধে সংবাদ লিখতেন জ্যোতির্ময়, এমনই সন্দেহ রাজনের মনে দানা বাঁধে। শোনা যায়, জ্যোতির্ময় দে’কে খতম করার নির্দেশ দেয় রাজন।