নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি-র (ED) মুখোমুখি হতে আরও কিছুটা সময় চাইলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi)। দিনদুয়েক আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাই কিছুটা সময় চেয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি।
ফিরে দেখা:
ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় গত ৮ জুনই ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস সভানেত্রীর। কিন্তু তার দিনছয়েক আগে, ২ জুন, কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন সনিয়া। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেই আর্জি মেনে নিয়েছিল। পরে শ্বাসযন্ত্রে অসুবিধা ধরা পড়ায় ১২ জুন হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় কংগ্রেস সভানেত্রীকে। সে সংক্রান্ত চিকিৎসার পর হালেই বাড়ি ফিরেছেন। এর মধ্যেই নতুন তলব। আগামী ২৩ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলে সমন পাঠায় ইডি। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে চিঠি লিখে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন সনিয়া।
জিজ্ঞাসাবাদ রাহুলকে:
বর্ষীয়ান নেত্রীর আর্জি ইডি রাখে কিনা, সেটা সময়ই বলবে। তবে একই মামলায় সনিয়া-পুত্র তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গাঁধীকে (Rahul Gandhi) পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেলেছে তারা। শেষ দিন টানা ১০-১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। সূত্রের খবর, ‘ইয়াং ইন্ডিয়ান’ এবং ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড’-এর শেয়ারহোল্ডিংয়ে গাঁধী পরিবারের ভূমিকা ঠিক কতটা, সেটা খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। জানতে চায়, কোন পরিস্থিতিতে ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড’-কে দখল করেছিল ‘ইয়াং ইন্ডিয়ান’? আর সেই সূত্রে কী ভাবেই বা ন্যাশনাল হেরাল্ড কাগজের সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিল ‘ইয়াং ইন্ডিয়ান’?
রাহুল অবশ্য জানিয়েছেন, ইডি এবং এ ধরনের এজেন্সির দাপটে ভীত নন। বুধবার দুপুরে এআইসিসি-র সদর দফতরে কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুল বলেন, ‘যে অফিসাররা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তাঁরাও জানেন কংগ্রেসকে এভাবে ভয় দেখিয়ে চুপ করানো যাবে না।’তবে গণতন্ত্র বাঁচানোর এই লড়াইয়ে তিনি যে একা ছিলেন না, সে জন্য দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানান ওয়েনাড়ের সাংসদ।
অভিযোগ বিরোধীদের:
শুধু কংগ্রেস নয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগে অতীতে তৃণমূল, এনসিপি, শিবসেনা-সহ একাধিক বিরোধী দলও সরব হয়েছে । তবে সনিয়া-রাহুলের তলবে তোলপাড় পড়ে দিল্লির অলিন্দে। এবার কী করবে ইডি? অপেক্ষায় অনেকে।
আরও পড়ুন: কৃষি আইনের মতো পিছু হঠতে হবে অগ্নিপথেও, হুঁশিয়ারি রাহুলের