নয়াদিল্লি : দ্বিতীয় ঢেউতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন? ভাবছেন, শরীরে তো তবে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েই গিয়েছে, তাহলে কি ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রয়োজন আছে? এই নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ? 
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে ইমিউনিটি তৈরি হলেও, ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি। তাতে তো কোনও ক্ষতি নেই-ই, বরং আরও দৃঢ় হবে সুরক্ষা প্রাচীর। সমীক্ষা বলছে, করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়তে তৈরি থাকবে শরীর। একেই বলা হয় হাইব্রিড ইমিউনিটি (hybrid immunity ) । অর্থাৎ করোনা হওয়ার পর শরীরে তৈরি হওয়া স্বাভাবিক প্রতিরোধক্ষমতার  (Natural Immunity )সঙ্গে যুক্ত হয় ভ্যাকসিন থেকে প্রাপ্ত ইমিউনিটি। 
ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণা সংস্থার দাবি (La Jolla Institute for Immunology in California), দেখা গেছে করোনাআক্রান্ত হয়েছিলেন এমন ব্যক্তি পরে ভ্যাকসিন নিলে লক্ষণীয় হারে তাঁর ইমিউনিটি বেড়ে যায়। অধ্যাপক শেন কর্টি এই মতপ্রকাশ করে বলেন, এর ফলে শরীরে হাইব্রিড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে থাকে। এমনকী কোভিডের বিপজ্জনক কিছু ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে লড়তেই শরীরকে তৈরি করে । ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ন্যাচারাল ইমিউনিটির থেকে প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় প্রতিরোধ ক্ষমতা।'
Oregon Health and Science University র মাইক্রোবায়লজির অধ্যাপক ফিকাদু তাফিসু (Fikadu Tafesse) বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বইকি !
University of Arizona র অধ্যাপিকা দীপ্তা ভট্টাচার্য জানালেন , “ করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কার শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি থাকবে, তার ঠিক নেই। যাঁদের ইমিউনিটি লেভেল কমের দিকে তাঁদের আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কিন্তু করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর যাঁরা কোভিড ভ্যাকসিনের একটি ডোজও নিয়েছেন, তাঁদেরও ইমিউনিটি লেভেল হাই থাকে ' 
সব মিলিয়ে বলাই যায়, দ্বিতীয় ঢেউতে করোনা আক্রান্ত হলেও আপনাকে ভ্যাকসিন নিতেই হবে। 

দেশের করোনা আপডেট : 


দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে চারশোর কাছাকাছি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ছাড়াল ৩০ হাজারের গণ্ডি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩১ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৭০। 


দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯২৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩২৫। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৯২৩।