নয়াদিল্লি : গত ছ'মাসে সর্বোচ্চ! ভারতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছে গেল ৬৮ হাজারে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় পড়েছেন ৬৮ হাজার ২০ জন। একদিনের করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে অক্টোবর মাসের পর যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ২৯১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। রবিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬২, ৭১৪ জন।
এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ বৃদ্ধির পর আপাতত দেশের করোনা চিত্রটা ঠিক কী দাঁড়াল-
এখনও পর্যন্ত মোট সংক্রমণ- ১ কোটি ২০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৪৪
করোনা সারিয়ে উঠেছেন- ১ কোটি ১৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৯৩ জন।
এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেস- ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৮০৮ জন।
মোটে মৃত্যু হয়েছে- ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪৩ জনের।
এদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে চালু হয়েছে করোনার টিকাকরণ। ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ। আজকের দিন (২৯ মার্চ) পর্যন্ত গোটা দেশে ৬ কোটি ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৩৫ জনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
দেশজুড়েই করোনা ভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা ফের দ্রুত বাড়ছে। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে অ্যাস্ট্রোজেনিকার কোভিশিল্ড করোনা ভ্যাকসিনের রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ভ্যাকসিন রফতানি রোখার আরও একটি বড় কারণ হল টিকাকরণের বাড়তি গতি। ভারতের টিকাকরণের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকাদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবের মতো বেশ কিছু রাজ্য করোনা সংক্রমণ রুখতে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নাইট কার্ফিউ জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সঙ্গে বাইরে বেরোলে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা, দূরত্ববিধি মেনে চলা থেকে আরও একাধিক বিধি নিষেধ লাগু করা হয়েছে সেখানে।