নয়াদিল্লি: সমস্যা কাটিয়ে ফের চালু হল কো-উইন পোর্টাল। জনস্বার্থে আরোগ্য সেতুর তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, "৪টে নাগাদ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এবার ফের ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের গ্রাহকরা ভ্যাকসিনের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।"


বুধবার কো-উইন পোর্টালে মোট ৭৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭২০ জন নাম নথিভুক্ত করেছেন। বেশিরভাগ মানুষই নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন শেষ তিন ঘণ্টায়। যাঁরা নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরাই বেশি। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, পোর্টালে প্রত্যেক সেকেন্ডে ৫৫ হাজার হিট হয়েছে।


পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেল ৪টে থেকে কো-উইন পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। এরপর মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই ৩৫ লক্ষ মানুষ নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। ১ মে থেকে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়া মাত্রই তাঁরা ভ্যাকসিনের তারিখ পাবেন। সেই মতো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন ১৮ থেকে ৪৪ বছরের সকলে। 


এদিন রেজিস্ট্রেশন শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই সমস্যা দেখা দেয় কো-উইন পোর্টালে। কো উইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে না পারার অভিযোগ ওঠে। টিকা নিতে ইচ্ছুকরা জানান, ইতিমধ্যেই সমস্ত স্লট বুক হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আর রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না। চাঞ্চল্য ছড়ায়।


বুধবার ৪টে থেকে শুরু হয় নাম নথিভুক্তিকরণ। তবে ৫টা নাগাদই সমস্যায় পড়েন অনেকেই। কাজেই কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় তৃতীয় দফার টিকাকরণের নাম নথিভুক্তি। যদিও তড়িঘড়ি সেই সমস্যার সমাধান করা হয়।  


উল্লেখ্য, জানানো হয়েছিল, এই দফায় টিকা নিতে পারবেন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সকলেই। তবে টিকা নিতে প্রথমে কো উইন অ্যাপে নাম রেজিস্টার করে স্লট বুক করতে হবে। স্লট অনুযায়ী হাসপাতালে গিয়ে তবেই টিকা নিতে পারবেন। 


বুধবারই তৃতীয় দফায় টিকাকরণের বিষয়ে ট্যুইট করা হয় আরোগ্য সেতু অ্যাপ-এর তরফে। যেখানে বলা হয়, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিরা টিকা নিতে চাইলে বিকেল ৪টে থেকে cowin.gov.in-এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। আরোগ্য সেতু অ্যাপ ও উমঙ্গ অ্যাপেও রেজিস্টার করা যাবে। রাজ্য সরকারি ও বেসরকারি কোভিড সেন্টারের ক্ষমতা অনুসারে আবেদনকারীদের টিকা নিতে ডাকা হবে।


সেই মতো বুধবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছিল রেজিস্ট্রেশন। তবে গোড়াতেই প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণ সমস্যায় পড়েন অনেকেই। ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিক নির্দেশিকা জারি হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই সমস্যার মুখে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কখনও দাম, কখনও অন্যান্য সমস্যা বাদ সেধেছে পরিষেবায়।


গতকালও রাজ্য একটি নয়া নির্দেশকা দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানায়, অবিলম্বে ভ্যাকসিনের পুরনো স্টক ফিরিয়ে দিতে হবে। তারপর প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে নতুন দাম দিয়ে নিজেদেরকেই টিকা কিনে নিতে হবে। তাতেও সমস্যা তৈরি হয়। এর ফলে সরকারি হাসপাতালের টিকাকরণ কর্মসূচি কীভাবে চলবে তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা।