বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : হাজার হলেও বাঙালি। তাই দুনিয়ার যে কোনও প্রান্তেই থাকুন না কেন, পুজো এলেই মন-ছুটি। কিন্তু বঙ্গে যখন প্যাণ্ডেলে ঢুকে প্রতিমা দর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট, তখন বাংলা থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে মন ভালো নেই নয়ডা, দিল্লিরও। সেখানে এমন বিধি নেই ঠিকই...তবে এবারও পুজো হবে নেহাতই নমো নমো করে। 


সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং, মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ একগুচ্ছ করোনাবিধি তো আগে থেকেই ছিল।  নয়ডার পুজো-বিধিতে এবার বাড়তি সংযোজন ডবল ডোজ ভ্যাকসিন। ভলান্টিয়ার, ঢাকি থেকে পুরোহিত প্রত্যেকেই ফুললি ভ্যাকসিনেটেড। গতবারের মতো এবারও প্রতিমার উচ্চতা ৪ ফুটের কম। 

নয়ডার পুজো উদ্যোক্তা সিদ্ধার্থ ঘোষ জানান, ' গতবারও করোনা বিধি মেনে ছোট করে পুজো করা হয়। এবার সঙ্গে যোগ হয়েছে ভ্যাকসিনেশনের ডবল ডোজের শর্ত । সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং তো মানা হবেই। ' 


কমপক্ষে ১০টা বড় পুজো হয় দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে। করোনা আসার আগে যে পুজোগুলো ঘটা করে হত, এবার সেখানে শুধুই ঘটপুজো। মাত্র ক’দিন আগেই মিলেছে প্রতিমা পুজোয় অনুমতি, এত দ্রুত এত আয়োজন করা সম্ভব নয়, দাবি সি আর পার্কের পুজো উদ্যোক্তাদের।  সি আর পার্কের পুজো উদ্যোক্তা রতন মুখোপাধ্যায় জানান, '' গতবারও ঘটপুজো এবারও ঘটপুজো করব। কদিন আগেই পুজোর অনুমতি পেয়েছি। এত কম সময়ে পুজোর আয়োজন করা কঠিন। সর্বজনীন পুজো হওয়ায় করোনা বিধি মেনে ভিড় নিয়ন্ত্রণও কঠিন। আশা করি পরের বছর কোভিড থাকবে না। ভালো করে পুজো করতে পারব''


একটানা বৃষ্টি, যা প্রতিমা তৈরি করেছেন তাই শুকোচ্ছে না। তারওপর এসেই চলেছে অর্ডার।  যমুনা পাড়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন শিল্পী অরবিন্দ দাস। তিনি জানালেন, ' ৪৯ টা প্রতিমা তৈরি করেছি, যে কমিটিগুলো শেষ মুহূর্তে অনুমতি পেয়েছে তাঁদের দাবি পূরণ করতে পারছি না। ' 


এবার দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পুজো মণ্ডপে একেবারেই ভিড় করা যাবে না। পাশাপাশি, ২৪ ঘণ্টা মণ্ডপের ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে।