নয়াদিল্লি : খুব তাড়াতাড়িই ভারতের মাটিতে চলে আসছে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন জানসেন। এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থার ভারতীয় মুখপাত্র। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই)-র নতুন নির্দেশ অনুযায়ী এখন আর দীর্ঘায়িত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাই জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা গতি পেয়েছে যাতে দ্রুত ভারতে সিঙ্গল ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করা যায়।


সূত্রের কবর, জুলাই মাসেই জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিন জানসেন চলে আসতে পারে ভারতের বাজারে। জানা যাচ্ছে, প্রথমে অল্প সংখ্যায় ও পরে বেশি পরিমাণে ভারতে আসবে যে ভ্যাকসিন। সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে দাম হতে পারে ২৫ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৯০০ টাকা। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বিষয়ি খতিয়ে দেখে যে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।


এদিকে, সোমবারই দেশে মর্ডানা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানির ক্ষেত্রে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র অনুমোদন পেল সিপলা। বিকেলেই এব্যাপারে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশে নিয়ন্ত্রিত আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য মডার্নার করোনা ভ্যাকসিন দেশে আমদানির ব্যাপারে সিপলাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।


এই অনুমোদনের ফলে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, সিরাম ইনস্টিটিটিউটের কোভিশিল্ড ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-র পর চতুর্থ ভ্যাকসিন হিসেবে এ দেশে এই টিকা দেওয়া হল। ওষুধ কোম্পানি সিপলা সোমবারই মডার্না ভ্যাকসিন আমদানির অনুমতি চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল। এর মাঝেই আবার জনসন অ্যান্ড জনসন সংস্থার ভারতীয় মুখপাত্রের কথায় আরও একটি ভ্যাকসিন দেশের মাটিতে আসার সম্ভাবনা বাড়ল।


তবে এই মুহূর্তে যে ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গোটা ভারতজুড়ে রয়েছে তৃতীয় কোভিড ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা, সেই দুই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তা অবশ্য এখনও কোনও সমীক্ষা রিপোর্টে জানা যায়নি।