আগরতলা: চার কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১২ জুনের ওই পৈশাচিক ঘটনায় রানির বাজার থানা এলাকা অন্তর্গত বর্ধমান ঠাকুর পাড়া থেকে সাত অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
শ্রীনগর থানার ওসি মানিক দেবনাথ জানান, নির্যাতিতাদের পরিবারের তরফে যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সকল অভিযুক্তের বয়স ১৯ থেকে ২১ বছর।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম মঞ্জিত দেববর্মা, বীরকুমার দেববর্মা, রিপন দেববর্মা, বিমল দেববর্মা, সজল দেববর্মা, চাঙ্কি দেববর্মা ও বিশাল দেববর্মা।
পুলিশ জানিয়েছে, সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে চার নির্যাতিতাকে একটি বাগানে আসতে বলা হয়েছিল। চার কিশোরী সেখানে পৌঁছলে অভিযুক্তরা কিশোরীদের বহমনীপাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীদের ওপর কয়েক ঘণ্টা ধরে পৈশাচিক অত্যাচার চালায় বিমল, সজল, রিপন ও তাদের বন্ধুরা।
নির্যাতিতা কিশোরীদের বয়ান অনুযায়ী, চারজনের মধ্যে তিন কিশোরী রিপন, বিমল ও সজলের বান্ধবী। কিশোরীরা জানিয়েছে, প্রথমে একটি রবার এস্টেটে সকলে দেখা করে। সেখান থেকে অভিযুক্তদের বাইকে করে তারা যায় বাহমনিপাড়ায়।
অভিযোগ, সেখানে জঙ্গলের মধ্যে পালা করে চারজনকে গণধর্ষণ করে সাত অভিযুক্ত। কুকর্মের পর রাতে মাঝরাস্তায় কিশোরীদের ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। রিক্সাচালককে ধরে, কোনওমতে কিশোরীরা বাড়ি পৌঁছয়।
ঘটনার কথা জানতে পেরে পরিবারের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়। চার কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সকলের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর। মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরায় তারা অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের।
অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে, তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক।