নয়াদিল্লি: কর্ণাটকে হিজাব-বিতর্ক নিয়ে বিজেপির ওবিসি ফ্রন্টের নেতা তথা উদুপি কলেজ উন্নয়ন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান যশপাল সুভর্না আঙুল তুললেন মামলা দায়েরকারী ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। হিজাবে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যে ছাত্রীরা মামলা দায়ের করেছিলেন, তাঁদের একটি ‘জঙ্গি সংগঠনে’র সদস্য বলে দাবি করলেন যশপাল।
চলতি হিজাব-বিতর্ক প্রসঙ্গে যশপাল বলেছেন, ‘যে ছয় ছাত্রী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁরা বলেছিলেন যে, আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন তাঁরা। কিন্তু এখন তাঁরা তাঁদের বিবৃতির মাধ্যমে বিচারবিভাগের বদনাম করছেন। আমি আগে যা বলেছিলাম, যে তাঁরা কোনও ছাত্রী নন, একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য, তাঁরা তা নিজেরাই প্রমাণ করেছেন। যেভাবে তাঁরা তিন বিচারপতির বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, তাঁরা জঙ্গি সংগঠনের সদস্য’।
যশপাল ওই ছাত্রীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলির ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্ট স্কুল ও কলেজে হিজাবে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ বহাল রাখে। একইসঙ্গে হিজাবে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দায়ের পিটিশনও খারিজ করে দেয় আদালত।
যশপাল বলেছেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলির কাছে ওই ছাত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। যাঁরা এ ধরনের মন্তব্য করেন, তাঁদের এখানে থাকতে বা কাজ করতে দেওয়া উচিত নয়। তাঁরা যেখানে তাঁদের ধর্মবিশ্বাস পালন করতে চান, সেই দেশে চলে যাওয়া উচিত’।
বিজেপি নেতার অভিযোগ, ওই তরুণীদের একটাই লক্ষ্য ছিল তা হল শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা এবং অন্য পড়ুয়াদের হেনস্থা করা।
যশপালের দাবি, ‘রায় বেরোনোর পর ওই ছাত্রীরা সরকারের প্রভাব তৈরি করার কথা বলেছেন। এটা সংবিধান বিরোধী কথাবার্তা। তাঁরা আমাদের বিচারপতিদের দিকে আঙুল তুলছেন। তাঁরা যদি আমাদের বিচারব্যবস্থায় আস্থা না রাখেন, তাহলে তাঁরা ভারতে থাকার যোগ্য নন। আইন-কানুন, যেই ভাঙবেন, তাঁরা ভারতের নাগরিক হতে পারেন না’।
এদিকে, আদালতের সিদ্ধান্ত অখুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা আজ কর্ণাটক বনধের ডাক দিয়েছিলেন।