নয়াদিল্লি: দফায় দফায় আলোচনা সত্ত্বেও সীমান্ত সংঘাতে এখনও ইতি পড়েনি পুরোপুরি। তার মধ্যেই লাদাখে (India-China Conflict) ভারতের বিদ্যুৎ পরিষেবায় (Indian Power Grid) হামলা চিনের। রাষ্ট্রীয় মদতে সে দেশের হ্যাকাররা গত ১৮ মাসে বার বার লাদাখের (Row over Ladakh Border) একাধিক বিদ্যুৎ পরিষেবা কেন্দ্রকে নিশানা করে বলে জানা গিয়েছে, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।


লাদাখে সীমান্ত সংঘাতকে সামনে রেখেই চিনের হানা!


বুধবার ‘রেকর্ডেড ফিউচার’ লাদাখে চিনা হ্যাকারদের হামলার বিষয়টি সামনে এনেছে। তারা জানিয়েছে, উত্তর ভারতে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী ইন্ডিয়ান স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারস (Indian State Load Despatch Centres (SLDCs)-এর অন্তত সাতটি কেন্দ্রের নেটওয়ার্কে চিনা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছে গত কয়েক মাসে। লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতকে মাথায় রেখে নির্দিষ্ট করে উত্তর ভারতের বিদ্যুৎ পরিষেবাকেই নিশানা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Indian Army: সেনায় নিয়োগে বিশেষ প্রকল্প আনছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক, অপেক্ষা অনুমোদনের


পাওয়ার গ্রিডের কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত করার পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু রাখতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাতেও হানা দেয় চিনা হ্যাকাররা। এ ছাড়াও ভারত সরকারের ভর্তুকিপ্রাপ্ত একটি বহুজাতিক সংস্থারকেও নিশানা করা হয়। বিষয়টি সম্পর্কে কেন্দ্রকে ইতিমধ্যেই অবগত করা হয়েছে এবং এই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘রেকর্ডেড ফিউচার’ সংস্থা। রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট হ্যাকারদের চিহ্নিত করার জন্য পরিচিত ওই সংস্থা। তাদের দাবি, পরিকাঠামো প্রযুক্তি সংক্রান্ত হাতিয়ে নেওয়াই লক্ষ্য চিনা হ্যাকারদের। ভবিষ্যতে ভারতের বিরুদ্ধে অকস্মাৎ হামলায় এই তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে দাবি ওই সংস্থার।


অতিমারির সময়ও বিদ্যিৎ পরিষেবায় চিন থাবা বসায় বলে অভিযোগ


তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারতের বিদ্যুৎ পরিষেবায় চিনা উৎপাতের ঘটনা সামনে এসেছে। অতিমারির প্রকোপ চলাকালীন, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল গোটা মুম্বই। পাওয়ার গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছিল বলে সেই সময় দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে আমেরিকার সংবাদপত্র ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর এক রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, চিনা সাইবার হানার কারণেই বাণিজ্য নগরীতে ওই বিপর্যয় নেমে আসে।


সেই সময় ওই রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। কারণ এই সাইবার হানার জেরে অতিমারির সময় হাসপাতালগুলিতে জেনারেটরের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবা দিতে হয়েছিল। এই ঘটনায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। ওয়াশিংটন সাফ জানিয়ে দেয় যে, চিনের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাতের এই ‘দাদাগিরি’ সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।