নয়াদিল্লি: টাকার দামে লাগাতার পতন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)। সেই আবহে আরও উদ্বেগের খবর সামনে এল। দেশের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ কমল আরও। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার (India's Forex Reserves) পরিমাণ একধাক্কায় প্রায় ৩৮৫ কোটি ডলার কমে গিয়েছে।
ভারতের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে পতন!
২১ অক্টোবরের নিরিখে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার এই পরিমাণ সামনে এনেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই মুহূর্তে ভারতের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে ৫২৪.৫২ বিলিয়ন ডলার সঞ্চিত রয়েছে, ২০২০-র জুলাই মাসের পর যা সর্বনিম্ন। এর আগে সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে ৫২৮.৩৭ বিলিয়ন ডলার ছিল। তার আগের সপ্তাহেই সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রা ৪৫০ কোটি ডলার কমে যায়।
আরও পড়ুন: Post Office Schemes: এই বাজারেও এত সুদ ! কোন পোস্ট অফিস স্কিমে কত লাভ পাবেন আপনি ?
এর আগে, ২০২১-এর অক্টোবরে ভারতের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৬৪৫ বিলিয়ন ডলার, এ যাবৎকালীন যা ছিল সর্বোচ্চ। টাকার দামের পতন রুখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিদেশি মুদ্রাকে ঢাল করার পর থেকেই সঞ্চয় কমছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর আগে, টাকার দর নামতে নামতে ডলার প্রতি ৮৩.২৯-এ গিয়ে ঠেকেছিল। তাতে বাজার ধরে রাখতে পদক্ষেপ করতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে।
লাগাতার টাকার পতন, চরমে মুদ্রাস্ফীতি
শুধু ভারতই নয়, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সব দেশের সরকারি ব্যাঙ্কগুলিই তাই সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে। মুদ্রাস্ফীতি, মূল্যবৃদ্ধিতে জের বার গোটা বিশ্বই। সাম্প্রতিক কালে চিনের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রায় সবচেয়ে বেশি পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এ বছর ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা ১৫৯ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সবমিলিয়ে ৮৫ বিলিয়ন ডলার খোয়া গিয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। তারা প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছে।
আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার জানিয়েছে, সমস্ত দেশ মিলিয়ে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৮৮৪ বিলিয়ন ডলার খোয়া গিয়েছে। এর মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলিই এগিয়ে রয়েছে। আমেরিকার ডলার যত শক্তিশালী হয়েছে, ভারত, চিনের মতো দেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে ততটাই কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।