নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil Price) দামে ফের রেকর্ড। ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১০ বছরে সর্বোচ্চে গিয়ে ঠেকল। তাতে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনতে ১২২ ডলার খরচ করতে হচ্ছে ভারতকে, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯ হাজার ৫৩৩ টাকার মতো। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের এই দামবৃদ্ধিতে ভারতে তেলের দামের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা (Fuel Price)।


আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী তেলের দাম


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। তার জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত তেলের ব্যারেল পিছু ১১২ ডলারের মতো খরচ করতে হচ্ছিল ভারতকে। মাঝে ৩০ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দাম ঘোরাফেরা করছিল ১০৩ ডলারের আশেপাশে। কিন্তু সেই দাম এ বার একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেল। 


একনাগাড়ে তেলের দাম বাড়ার পর সম্প্রতি শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। তার জেরে ২১ মে থেকে ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত। মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৮ শতাংশে পৌঁছনোয় আপাতত তেলের দাম বাড়ানোর দাবিতে যাচ্ছে না  ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মতো সরকারি সংস্থাগুলি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম এ ভাবে বাড়তে থাকলে, কত দিন দাম অপরিবর্তিত রাখা যাবে, তা নিয়ে আশঙ্কা দেখে দিয়েছে। মুডি'জ রিপোর্ট বলছে, ২০২১-এর নভেম্বর থেকে ২০২২-এর মার্চ পর্যন্ত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের প্রায় ১০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Toyota Glanza 2022: বালেনোর সব নতুন গুণ, গ্লাঞ্জায় পাবেন ফিচারের সঙ্গে টয়োটার ব্র্যান্ড


দেশের অন্দরে চাহিদার জোগান দিতে ৮৫ শতাংশ তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠাপড়ার উপরই দেশের অন্দরে জ্বালানির দাম নির্ধারিত হয়। বর্তমানে লিটার প্রতি পেট্রোলে ১৮ টাকা এবং লিটার প্রতি ডিজেলে সরকারি তেল সংস্থাগুলির ২১ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি পেট্রোলের উপর শুল্ক ৮ টাকা এবং ডিজেলের উপর শুল্ক ৬ টাকা কম করে কেন্দ্র। 


জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা


সরকারি তেল সংস্থাগুলি যেখানে ক্ষতি সহ্য করেলও তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে, সেখানে রিলায়্যান্স বিপি-র মতো বেসরকারি সংস্থআগুলি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। সরকারি তেল সংস্থাগুলির চেয়ে লিটারে ৩-৪ টাকা বেশি দরেও তেল বিক্রি করছে তারা।