Coronavirus in India: কোভিড-১৯ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, অর্থাৎ কোন গতিতে এগোচ্ছে, তার ইঙ্গিত দেয় 'আর নট ভ্যালু'(R naught value)। এই আর ভ্যালু চলতি সপ্তাহেই চারে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে যে, তৃতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণের প্রসার ঘটছে অত্যন্ত দ্রুতহারে। ইতিমধ্যেই রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। এরইমধ্যে আইআইটি মাদ্রাজের প্রাথমিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে ১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। 'আর শূন্য' বা 'আর ০' ভ্যালু ইঙ্গিত দেয় যে,কোনও সংক্রমিত ব্যক্তি কতজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এই হার একের নিচে চলে গেলে মহামারীর অন্ত হিসেবে মনে করা হয়ে থাকে।


তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে 'আর ০'।


আইআইটি মাদ্রাজের কম্পিউটেশনাল মডেলিংয়ের  প্রাথমিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গত সপ্তাহ (২৫ ডিসেম্বর  থেকে ৩১ ডিসেম্বর) আর ০-র মান জাতীয় স্তরে ছিল প্রায় ২.৯ শতাংশের কাছাকাছি। তারপরের সপ্তাহ অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্বে এই সংখ্যা চার হয়েছে। আইআইটি মাদ্রাজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. জয়ন্ত ঝা বলেছেন, আর ০ তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে-প্রসারের আশঙ্কা, সংস্পর্শের হার ও সম্ভাব্য সময়ের ব্যবধান, যাতে সংক্রমণ ঘটতে পারে।


তিনি বলেছেন, এখন কোয়ারিন্টিনের পদ্ধতি ও বিধিনিষেধ বাড়ায় সংস্পর্শের হার কমতে পারে এবং এভাবে আর ০ কমতে পারে। আমাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণের ভিত্তি আমরা এই সংখ্যা বলতে পারি। কিন্তু এই সংখ্যায় বদল ঘটতে পারে সামাজিক জমায়েত সহ অন্যান্য কিছু নিয়ন্ত্রণে গহীত বিধি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে।


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বুধবার বলেছিল যে, ভারতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা প্রচুর হারে বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে করোনা নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আর নট ভ্যালুর প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়। দ্বিতীয় ঢেউয়ের চূড়ান্ত পর্বে এই হার ছিল ১.৬৯। সেই হারকে ছাড়িয়েও আর নট ভ্যালু পৌঁছে গিয়েছে ২.৬৯-এ।


ঝা জানিয়েছেন, তাঁদের পরিসংখ্যান অনুসারে করোনার চলতি ঢেউ ফেব্রুয়ারির ১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে শিখর ছুঁতে পারে। আর তা এর আগের ঢেউয়ের তুলনায় দ্রুত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই ঢেউ আগের ঢেউগুলির তুলনায় ভিন্ন হবে। এর কারণ টিকাকরণ ও সামাজিক দূরত্ব সংক্রান্ত বিধি। এবার একটা সুবিধা রয়েছে যে, প্রায় ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।