নয়াদিল্লি: ঘোষণা হয়েছিল এক দিন আগেই। মঙ্গলবার থেকে নয়া জ্বালানির দাম (Fuel Price Hike) কার্যকর হয়ে গেল দেশের সর্বত্র। তাতে একধাক্কায় ১৪.২ কিলোগ্রাম রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা বাড়ল (Liquefied Petroleum Gas/LPG। এর ফলে হেঁশেল সামলাতে হিমশিম মধ্যবিত্ত।সোমবারের আগে, গত বছর ৬ অক্টোবর রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জেরে মাঝের কয়েক মাস বাড়ানো হয়নি দাম। কিন্তু ভোট মিটতেই সটান ৫০ টাকা দাম  আগে বেশ কয়েক মাস রান্নার গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত ছিল। কিন্তু ভোট মিটতেই তা একধাক্কায় ৫০ টাকা বাড়ানো হল।


নয়া মূল্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে রাজধানী দিল্লিতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ৯৪৯ টাকা ৫ পয়সা, গতকাল পর্যন্ত তা ৮৯৯.৫০ পয়সা ছিল। কলকাতায় ১৪.২ কিলোগ্রাম রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৭৬ টাকা, এত দিন তা ছিল ৯২৬ টাকা।


চলতি মাসেই উত্তরপ্রদেশে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি তথা যোগী আদিত্যনাথের সরকার। সেখানেও রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেড়ে মঙ্গলবার থেকে ৯৮৭ টাকা ৫ পয়সা হল। বিহারের পটনায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের নয়া দাম ১ হাজার ৪৭ টাকা ৫ পয়সা।


আরও পড়ুন: LPG Price Hike: পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দামে লম্বা লাফ, কলকাতায় কোনটার কত দাম


মুম্বই এবং চেন্নাইয়েও রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার হাজার ছুঁইছুঁই। মায়ানগরী মুম্বইয়ে হেঁশেলে গ্যাসের জোগান দিতে ৯৪৮ টাকা ৫ পয়সা খরচ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, যা এত দিন ৮৯৯ টাকা ৫ পয়সা ছিল। চেন্নাইয়ে দাম পড়ছে ৯৬৫ টাকা ৫ পয়সা। গতকাল পর্যন্ত সেখানে সিলিন্ডার পিছু দাম পড়ছিল ৯১৫ টাকা ৫ পয়সা।  


শুধু রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারই নয়, মঙ্গলবার থেকে পেট্রল-ডিজেলের দামও বাড়ল দেশের সর্বত্র। পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর দাম বাড়ানো হয়েছিল পেট্রল-ডিজেলের। মাঝে কয়েক মাস বিরতির পর মঙ্গলবার থেকে সেই দামও বাড়ল। লিটারে ৮০ পয়সা বেড়ে বর্তমানে দিল্লিতে পেট্রলের দাম ৯৬ টাকা ২১ পয়সা, কাল পর্যন্ত যা ছিল ৯৫ টাকা ৪১ পয়সা। দিল্লিতে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম এই মুহূর্তে ৮৭ টাকা ৪৭ পয়সা, গতকাল পর্যন্ত যা ৮৬ টাকা ৬৭ পয়সা ছিল।


এর আগে, রবিবার শিল্পের জন্য ডিজেলের দামও একধাক্কায় প্রতি লিটারে ২৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী, রেল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী, পরিবহণ, তাপবিদ্যুৎ, সিমেন্ট, রাসায়নিক এবং অন্য শিল্প সংস্থার বেশি জ্বালানির প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়াও বিমানবন্দর, শপিং মল এবং অন্য শিল্প ক্ষেত্রেও জ্বালানির চাহিদা তুলনামূলক বেশি। তাই একসঙ্গে বেশি পরিমাণ পেট্রল বা ডিজেল কিনতে হয় তাদের। তাদেরই লিটারে ২৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে ডিজেল।