আমেদাবাদ : করোনার জেরে ব্যাপকভাবে ধাক্কা খায় দেশের অর্থনীতি। অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েন, কারও কারও রোজগার কমে যায়। এবার সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে সেই সুরই শোনা গেল। করোনার প্রভাব থেকে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বেরিয়ে এসেছে। এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, অতিমারির সময় যখন বিশ্বের বড় বড় দেশগুলি নিজেদের অর্থনীতি বাঁচানোর লড়াই লড়ছে, সেই সময় ভারত সংস্কারে নিযুক্ত ছিল। করোনায় ভারত সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দ্রুত প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে। আজ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।


তিনি বলেন, যখন গোটা বিশ্বজুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়েছিল, তখন আমরা প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলাম। এই প্রকল্পকে এখন বস্ত্র শিল্পেও প্রসারিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বস্ত্র শিল্প এবং সুরাতের মতো শহরগুলি উপকৃত হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস। যাতে এই অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দেখা গেছে ২০.১ শতাংশ। 


প্রসঙ্গত, করোনা-লকডাউনের ধাক্কা সামলে ভারতীয় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছে সম্প্রতি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায়, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি ৫ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। শতাংশের বিচারে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বা মোট দেশীয় উৎপাদনের বৃদ্ধির হার ২০.১ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি ছিল ২৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪২১ কোটি। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লক্ষ ৩৮ হাজার ২০ কোটিতে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার। কারণ, করোনা লকডাউনের ফলে গত অর্থবর্ষের এই সময়ে বৃদ্ধির হার মাইনাস ২৪.৪ (-২৪.৪) শতাংশ ছিল। যা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল।