নয়া দিল্লি : বিএসএফের (BSF) এক্তিয়ার বিতর্কে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পাঞ্জাব সরকার। বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে মামলা করা হয়েছে। আলোচনা ছাড়াই বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে মামলার পাঞ্জাব সরকারের। এর আগে কেন্দ্রকে অক্টোবর ১১-র এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গত ১২ নভেম্বর পাঞ্জাব বিধানসভায় পাস হয় রেজোলিউশন।
সম্প্রতি মোদি সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি ৫০ কিলোমিটার করা হচ্ছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং অসমে বিএসএফ এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি ১৫ কিলোমিটার থেকে হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। অন্যদিকে গুজরাতে তা ৮০ কিলোমিটার থেকে হয়েছে ৫০ কিলোমিটার। বিএসএফের (BSF) পরিসর বৃদ্ধি নিয়ে আপত্তি জানায় বাংলা ও পঞ্জাব। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় প্রস্তাব আনে ক্ষমতাসীন তৃণমূল। রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে দুই রাজ্যই। যদিও এমন আশঙ্কা ভিত্তিহীন বলে লোকসভায় লিখিত উত্তরে জানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন যে, ’ বিএসএফ (BSF) আমার শত্রু নয়। বিজেপি (BJP) যেভাবে মনে করছে, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ ! এটা ঠিক নয়’। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্রের পরিধি বাড়ানোর বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়।
এদিকে এই ইস্যুতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেছেন, “প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বিএসএফ (BSF) নিয়ে মন্তব্যকে সমর্থন করি না। প্রয়োজন হল পুলিশ-বিএসএফ একসঙ্গে কাজ করুক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কেন সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন?’’
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পাঞ্জাবও। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল পাঞ্জাব সরকার। এই জন্য পাঞ্জাব সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সেরাজ্যে কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু।