নয়াদিল্লি: দেড়মাসের বেশি কেটে গেলেও এখনও ফেরেনি স্থিতাবস্থা। সেই পরিস্থিতিতে এ বার রাশিয়াকে (Russia-Ukraine War) আরও ধাক্কা দিল ভারতীয় বহুজাতিক এবং তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস (Infosys Ltd)। রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করল তারা। জানাল, রাশিয়ার বিকল্প অন্য উপায়ের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ায় নিজেদের সংস্থার যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা রাশিয়া
এই মুহূর্তে যুদ্ধাপরাধ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হাজার অভিযোগে বিদ্ধ রাশিয়া। আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি লাগাতর তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েই চলেছে। তাতে আন্তর্জাকতিক মহলে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মস্কো। একি সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও রোষের মুখে পড়ছেন।
সেই পরিস্থিতিতে বিশ্বের তাবড় তথ্য-প্রযুক্তি এবং সফ্টওয়্যার সংস্থা, যার মধ্যে ওরাকল কর্প, স্যাপ এসই-র মতো সংস্থা, একে একে রাশিয়ায় ব্য়বসার ঝাঁপ ফেলতে শুরু করেছে অনেক সংস্থাই। ম্যাকডোনাল্ড,কোকাকোলার মতো সংস্থাও রাশিয়ায় আপাতত ব্য়বসা বন্ধ রেখেছে। সেই তালিকায় এ বার নয়া সংযোজন হতে চলেছে ইনফোসিস।
আরও পড়ুন: Bank New Rules: বদলে গেল এই ব্যাঙ্কের নিয়ম, ন্যূনতম ব্যালেন্স কত রাখতে হবে জানেন ?
ইনফোসিস সংস্থার সিইও তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সলিল পারেখ নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "পরিস্থিতি বিবেচনা করে ব্যবসা সরাতে তৎপর হয়েছি আমরা। রাশিয়ার থেকে বেরিয়ে বাইরে কোথাও বিকল্প উপায়ের খোঁজ করছি।" রাশিয়ায় ইনফোসিসের কর্মীর সংখ্যা মোটে ১০০ বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, "রাশিয়ায় তেমন গ্রাহক নেই আমাদের। আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য রাশিয়া থেকে কাজ করি। সেই প্রক্রিয়াই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছি। তাতে ব্যবসায় প্রভাব পড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।" সেখানে কর্মরত সংস্থার কর্মীদের অন্যত্র সরিয়ে আনার পরিকল্পনা চলছে বলেও জানিয়েছেন সলিল।
ব্যবসায় কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদী ইনফোসিস
রাশিয়া থেকে ব্যবসায় গুটিয়ে নিলে সংস্থার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছেন সলিল। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্তে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা। কারণ পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে ভারত। নিষেধাজ্ঞার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে মোটা অঙ্কের ছাড়ে তেলও কিনছে দিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে ইনফোসিসের মতো ভারতীয় সংস্থা রাশিয়া থেকে তল্পিতল্পটা গুটিয়ে বেরিয়ে এলে, তা দু'দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।