আমদাবাদ: দিন কয়েক আগে পতাকা উড়িয়ে যাত্রার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার পরই দুর্ঘটনায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হল সুপারফাস্ট বন্দেভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের (Vande Bharat Train) একাংশ। রেললাইন পেরনো তিন-চারটি মোষের একটি দলকে ধাক্কা মারে ট্রেনটি (Buffalo Herd)। তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেনটি।
লাইন পেরনো মোষের দলকে ধাক্কা, ক্ষতিগ্রস্ত বন্দেভারত ট্রেন
বৃহস্পতিবার সকালে মুম্বই থেকে গুজরাতের (Gujarat) গাঁধীনগরে ঢুকছিল ট্রেনটি। সেই সময় সকাল ১১টা নাগাদ বাটওয়া এবং মণিনগরের মধ্যবর্তী এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে রেললাইন পার করছিল মোষের দল। দ্রুতগতিতে ছুটে আসে তাদের ধাক্কা মারে ট্রেনটি। তাতেই ট্রেনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আস্তরণ-সহ খসেও পড়ে কিছুটা অংশ।
তবে ট্রেনটির মারাত্মক কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে রেল সূত্রে। বলা হয়েছে, ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনের অংশ ভেঙেচুরে গিয়েছে খানিকটা। ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি ফাইবার রিইনফোর্সড প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ছিল। তবে তাতে কার্যকরী কোনও প্রভাব পড়েনি। যন্ত্রপাতি সব অক্ষতই ছিল। মিনিট আটেক পর ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তার পর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যায়।
অতি সম্প্রতি ওই ট্রেনটির যাত্রা শুরু হয়। পতাকা উড়িয়ে গাঁধীনগর থেকে তার সূচনা ঘটান মোদি। এমনকি নিজে ওই ট্রেনে চেপে গাঁধীনগর থেকে আমদাবাদের কালুপুর পর্যন্ত যাত্রাও করেন তিনি।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বন্দেভারত এক্সপ্রেস সেমি-হাইস্পিড ট্রেন। এই ট্রেন সম্পূর্ণ ভাবে স্বচালিত, অর্থাৎ আলাদা করে কোনও ইঞ্জিনের দরকার পড়ে না। বাতানুকূল ট্রেনের দরজাও স্বয়ংক্রিয়। ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটলেও গ্লাস থেকে চলকে পড়ে না জল। ১৪০ সেকেন্ডে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তুলতে সক্ষম এই ট্রেন।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বন্দেভারত ট্রেন
শুধু তাই নয়, এই ট্রেনে রয়েছে ‘কবচ’ প্রযুক্তিও, যাতে অন্য কোনও ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগা এড়ানো যায়। ১৬ কামরার ট্রেনের প্রত্যেকটিতে এমার্জেন্সি টকব্যাক ইউনিটও রয়েছে। এই ট্রেন তৈরিতে খরচ পড়েছে ১১০ থেকে ১২০ কোটি টাকা।