কলকাতা: বিরোধীদের (opposition) কণ্ঠরোধ (muzzle) করতে ও ভয় দেখাতে সিবিআই, (CBI) ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার করছে বিজেপি সরকার (BJP)। অভিযোগ তৃণমূলের ( ) রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেনের (Shantanu Sen)। আজ শিবসেনা মুখপাত্র ও বর্ষীয়ান নেতা সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) বাসভবনে অভিযান চালায় ইডি। তারই প্রেক্ষিতে সুর চড়ান তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ।


কী বললেন শান্তনু?
এবিপি আনন্দকে ফোনে শান্তনু বলেন, 'আমরা দেখেছি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করতে কী ভাবে মহারাষ্ট্রের সরকার ভাঙা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের একাধিক বিধায়ককে প্রথমে গোয়া, তার পর সুদূর অসমে নিয়ে গিয়ে হোটেলবন্দি করে রাখা হয়। আমরা বার বার বলছি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে, ভয় দেখাতে ও শক্তি ভাঙার জন্য সিবিআই ও ইডি-র মতো সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি নির্দিষ্ট সময়সূচি খেয়াল করেন তা হলেও একই জিনিস উঠে আসবে।' তৃণমূল সাংসদের মতে, লোকসভা, বিধানসভা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ঠিক আগে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কথা মাথায় রেখেই এই ধরনের অভিযান চলেছে। সঙ্গে অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোট ও ক্লাব দখলের প্রয়োজনেও সেন্ট্রাল এজেন্সিকে ব্যবহার করতে পারে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। পক্ষান্তরে একই দোষে দুষ্ট শাসকদলের বিভিন্ন নেতানেত্রীর কেউ কেশাগ্রও স্পর্শ করছে না, দাবি শান্তনুর। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের যে অভিযোগ বিরোধীরা এনেছেন, তা ষোলো আনা সত্যি বলে মনে করেন তিনি। 


কী ঘটেছে?
শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় ইডি একাধিকবার তাঁকে তলবও করেছিল। তবে প্রথমবার হাজিরা দিলেও পরের দুইবার তলবে তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। আর্থিক বেনিয়ম এবং দুর্নীতির মামলাতেই ১ জুলাই সঞ্জয় রাউত-কে ১০ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কিন্তু এরপরে ফের ২০ জুলাই তাঁকে তলব করা হলে, ইডি-কে সঞ্জয় রাউতের আইনজীবী জানায়, সংসদ অধিবেশন চলায় ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। ৭ অগাস্টের পরেই হাজিরা দিতে পারবেন বলে জানান রাউতের আইনজীবী। এরপরেই আজ সাতসকালে সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে উপস্থিত ইডি অধিকারিকরা।  


আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি, প্রতিবাদে পথে বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা