চেন্নাই: পেরিয়ে গিয়েছে ৩১ বছর। ভারতের ইতিহাসের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। ১৯৯১ সালের মে-মাসের সকালেই প্রাণ গিয়েছিল রাজীব গাঁধীর ( Rajiv Gandhi assassination)
সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বি আর গাভাইয়ের একটি বেঞ্চ দোষীকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তামিলনাড়ু মন্ত্রিসভা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাসঙ্গিক বিবেচনা বিবেচনা করে রাজ্যপালের কাছে তার মুক্তির সুপারিশ করেছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট পেরারিভালানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল।
আরও পড়ুন :
আজ সন্ধে ছটার মধ্যে সিবিআই দফতরে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ আদালতের
আদালতের কাছে আবেদনে, পেরারিভালান বলেন যে গত, ২০১৮ সালে ৯ সেপ্টেম্বর, রাজ্য সরকারের একটি সুপারিশে তাকে ক্ষমা করতে এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্যপাল সুপারিশ করে । কিন্তু তাতে এখনও প্রতিক্রিয়া জানাননি রাজ্যপাল। তামিলনাড়ু সরকার ২০১৮ সালেই পেরারিভালানকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করে। তারপরই ১১ মে শীর্ষ আর্ষ দালতের কাছে পেরারিভালান মুক্তির আবেদন জানান। সেই মামলা চলাকালীন শীর্ষ আর্ষ দালতকে কেন্দ্র জানায়, শাস্তি মকুব করতে পারেন শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতিই।
১৯৯১ সালের ২১ মে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর মৃত্যু হয়। ১৯ বছর বয়সে গ্রেফতার হওয়া, পেরারিভালানকে ১৯৯৯ সালের মে মাসে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ।এরপর ২০১৪ সালে তাঁর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০২২ এর মার্চ মাসে পেরারিভালানের জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই সময়ের আগে মুক্তির জন্য আবেদন জানান পেরারিভালান।