Swami Prasad Maurya quits BJP: উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্যের ইস্তফায় অশনি সঙ্কেত দেখছে গেরুয়া শিবির। এরপরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বামী প্রসাদ মৌর্যের মানভঞ্জনের দায়িত্ব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যকে।
কেশব প্রসাদ মৌর্য পদত্যাগ করতে পারেন, এমন অসন্তুষ্ট বিধায়কদের ক্ষোভ দূর করার চেষ্টা শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশ বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিংহ ও সংগঠন মহামন্ত্রী সুনীল বনশলকেও এই কাজে লাগানো হয়েছে। আজ মন্ত্রী দারা সিংহ চৌহানকেও দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা হতে পারে।
উল্লেখ্য, স্বামী প্রসাদ মৌর্য অনগ্রসর শ্রেণীর প্রভাবশালী নেতা। অ-যাদব ওবিসি ভোট ব্যাঙ্কে তাঁর ভালো মতো প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে,কোইরি-কুশওয়া জাতির ভোটব্যাঙ্কে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়ে থাকে। উত্তরপ্রদেশের কইরি-কুশওয়া ভোট প্রায় ৫ শতাংশ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির স্বামী প্রসাদ মৌর্যর প্রভাব সম্পর্কে ভালোমতোই জানা রয়েছে। মৌর্যর এই রাজনৈতিক প্রভাবের লাভ ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে ঘরে তুলেছিল বিজেপি। ওই সময় স্বামী প্রসাদ ছিলেন বিএসপি-র প্রথমসারির নেতা। ভোটের আগে তিনি মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন বিএসপি-র হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে সামিল হয়েছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের ভোটের রাজনীতিতে ওবিসি সম্প্রদায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরপ্রদেশে ওবিসি জনসংখ্যা ৪২ থেকে ৪৩ শতাংশ। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১২৫ জন ওবিসি প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামিয়েছিল। স্বামী প্রসাদ মৌর্যের প্রভাব কতটা, তার একটা দৃষ্টান্ত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল। ওই নির্বাচনে স্বামী প্রসাদের মেয়ে সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বদায়ুঁ আসনে মুলায়ম সিংহ যাদবের পরিবারের সদস্য ধর্মেন্দ্র যাদবকে হারিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে স্বামী প্রসাদ মৌর্য বিজেপি ছাড়ায় তাঁর মেয়ে তথা সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা কী করেন, সে দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আপাতত, বিজেপিতে যখন ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা চলছে, তখন সমাজবাদী পার্টি শিবিরে খুশির হাওয়া। সামগ্রিক ঘটনাক্রমের মধ্যে আজ লখনউতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছে সমাজবাদী পার্টি।