মুম্বই: মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি রাখার দায় নিল জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ। এদিন তারা টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়া বার্তায় দায় স্বীকার করেছে। কিছুদিন আগে রাজধানীর ইজরায়েল দূতাবাসের অদূরে বোমা বিস্ফোরণে নাম উঠে এসেছিল এই জঙ্গি সংগঠনেরই নাম। যদিও এই বার্তা নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি মুম্বই পুলিসের পক্ষ থেকে।
জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ তাদের বার্তায় শিল্পপতি অম্বানির কাছ থেকে বিটকয়েনের মাধ্যমে অর্থ দাবি করেছে। পাশাপাশি বার্তার মাধ্যমে তাদের দাবি, অম্বানিদের বাড়ির সামনে জিলোটিন স্টিক ভর্তি গাড়ি রাখা ‘তাদের ভাই’ সুরক্ষিত অবস্থাতেই মুম্বই ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। সঙ্গে গাড়ি থেকে উদ্ধার বার্তা ফের একবার দিয়ে বলা হয়েছে, এটা ট্রেলার ছিল, বড় ছবিটা এখনও দেখানো বাকি।
ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তে তাদের ১০টি ভিন্ন দল নামিয়েছে মুম্বই পুলিশ। তারা প্রাথমিক তদন্তে খুঁজে পেয়েছে, ইস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ে থেকে চুরি হওয়া গাড়িতে বিস্ফোরখ ভর্তি করে রাখা হয়েছিল মুম্বই আম্বানির বাড়ি অ্যান্টিলার সামনে। গাড়িটির মালিক গাড়ি হারানোর খবর আগেই ভিকরোলি পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া গাড়ির মধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাগ, ২০টি জিলেটিন স্টিক, ও হুমকি-চিঠি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, জিলেটিন স্টিকগুলি তৈরি করেছে নাগপুরের একটি সংস্থা।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, এই কাণ্ড ঘটানোর আগে, গত একমাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই সময় অম্বানি পরিবারের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, শিল্পপতির গাড়ির নম্বর প্লেট ডুপ্লিকেট তৈরি করা হয়। পুলিশের অনুমান, গাড়িটিকে অম্বানি বাসভবন অ্যান্টিলার আরও কাছে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু, নিরাপত্তার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে, সকলকেই মূলত প্রত্যক্ষদর্শী বা সাক্ষী হিসেবেই ডাকা হয়েছিল। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, হাজি আলির কাছে রাত ১২টা ২০ নাগাদ গাড়িটি ১০ মিনিট দাঁড়িয়েছিল। সেখানে গাড়ির চালক সামনের দরজা দিয়ে না নেমে পিছনের দরজা দিয়ে মাথা নিচু করে বেরিয়ে ফুটপাথের দিকে এগিয়ে যায়।
(আরও পড়ুন
একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এই গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চালক ঝুঁকে ঝুঁকে কিছুদূর গিয়ে সেখান থেকে বেপাত্তা হয়ে যায়। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ওই ফুটেজ সমেত ডিভিআর বাজেয়াপ্ত করেছে।