ধলাই (ত্রিপুরা) : পরিবারের তিন সদস্য সহ চার জনকে কুপিয়ে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল এক নাবালকের বিরুদ্ধে। ত্রিপুরার (Tripura) ধলাইয়ে হাড়হিম করা এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। মা, দাদু, বোন ছাড়াও প্রতিবেশী এক মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।


অভিযোগ, খুনের পর বাড়ির পাশে একটি গর্তে তিন জনকে মাটি চাপা দেয় ওই নাবালক। খবর জানাজানি হতেই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ এসে বাড়ির মধ্যে থেকে একজনের দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ (Sample Collected) করে ফরেন্সিক দল (Forensic Team)। গতকাল গভীর রাতে অভিযুক্তকে নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।


স্থানীয়দের দাবি, মোবাইল গেমে আসক্ত (Addicted to Mobile Game) ছিল ওই নাবালক। এই নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বচসা লেগেই থাকত। গতকাল খুনের সময় তারস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে দেয় নাবালক, এমনই দাবি স্থানীয়দের।


কী বলছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ?


এই ঘটনা নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী মিত্র বলেন, অনেকগুলো বিষয় জানা দরকার। যেহেতু অপরাধী একজন নাবালক, তাই কয়েকটি জিনিস আমাদের জানতে হবে। এদের মধ্যে অনেকেরই ছোট থেকে অপরাধ-মানসিকতা থাকে। এটাকে বলা হয়, কন্ডাক্ট ডিসঅর্ডার। ছোটদের মধ্যে যে সাইকোপ্যাথি থাকে না, তা কিন্তু নয়। অতীতে কোনও অপরাধের ইতিহাস আছে কি না জানতে হবে। এদের বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক, বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বললে মানসিক অবস্থা বোঝা যায়। খুব সাঙ্ঘাতিক ঘটনা। আর কোনও সাইক্রিয়াটিক ডিসঅর্ডার আছে কি না জানতে হবে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, এটা একটা ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি। খুব ঠান্ডা মাথায় এটা করা হয়েছে। নানা রকম স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে গেছে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তার রিল্যাপস এভাবেই হয়েছে। বাচ্চাটির মানসিক অবস্থার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। তার পরই বিষয়টি বোঝা যাবে।


খুন এরাজ্যেও !


এদিকে এরাজ্যেও খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। বালিঘাটের দখল নিয়ে ২ গোষ্ঠীর বিবাদে সিউড়িতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বছর ২০-র এক যুবককে। তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ বিজেপির। অভিযোগ উড়িয়ে গ্রাম্য বিবাদ বলে পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের সিউড়ির ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাঁশজোড় গ্রামে।


আরও পড়ন ; ‘বালিঘাট-বিবাদে’ যুবক খুন, তৃণমূল নেতা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ