নয়াদিল্লি: ভাল ব্যবহারের জন্য মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি মিলেছে বলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে। আদালতে জমা রেকর্ড বলছে, গুজরাতের বিলকিস বানোর (Bilkis Bano Case) ধর্ষক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনিরা সবমিলিয়ে চার বছরেরও বেশি সময় প্যারোলে জেলের বাইরে ছিলেন। সেই নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi)। তাঁর দাবি, যা হয়েছে, আইন মেনেই হয়েছে। কোথাও কোনও ভুল নেই।


বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি আইনসম্মত, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী


এ বছর স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস বানোকে ধর্ষণ এবং শিশুসন্তান-সহ তাঁর পরিবারের সাত জন সদস্যকে খুনে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রথমে গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্ত বলে জানা গেলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও ওই ১১ জনের মুক্তিতে সিলমোহর দেওয়া হয় বলে সামনে এসেছে। সেই আবহেই এ বার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সপক্ষেই কার্যত মুখ খুললেন প্রহ্লাদ।


আরও পড়ুন: Gratuity Update: গ্র্যাচুইটি নিয়ে বড় খবর ! এই নিয়ম শুরু হলে ১ বছর পরই পাওয়া যাবে গ্র্যাচুইটি


সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রহ্লাদ বলেন, “সরকার এবং সচেতন পক্ষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার মধ্যে কোনও অন্যায় দেখতে পাচ্ছি না আমি। আইনি প্রক্রিয়া মেনেই যা হওয়ার হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “জেলে থাকার পর ওঁদের আচরণ যদি...আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। তার মধ্যে যেতে চাই না আমি।” একই সুর ধরা পড়ে গুজরাতের পাটিদার নেতা তথা বিজেপি সদস্য হার্দিক পটেলের গলাতেও। তাঁর কথায়, “ভাল আচরণের জন্য কোনও বন্দিকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্য সরকারের। অবশ্যই কুকর্মের জন্য শাস্তি হওয়া দরকার দোষীর। তবে এই ঘটনাকে অন্যায় ভাবে দেখানো হচ্ছে।”


যদিও গুজরাতের আর এক নেতা অল্পেশ ঠাকুর বিলকিস-কাণ্ডের অপরাধীদের মুক্তি দেওয়ার বিপক্ষে। তাঁর কথায়, “আমি এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না। এই ধরনের মানুষদের ক্ষেত্রে ভাল আচরণ যথেষ্ট নয়। আরও লজ্জার বিষয় হল, জেল থেকে বেরনোর পর ওঁদের মিষ্টিমুখও করানো হয়।”


কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনেই বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি


বিলকিস-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্তদের মুক্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা চলছে, তাতে গুজরাত সরকার জানিয়েছে, ওই ১১ জনের মুক্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারই সিলমোহর দেয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) এবং বিশেষ আদালতের বিচারপতির আপত্তিও সেখানে খাটেনি।