নয়াদিল্লি: ডেডলাইন ছিল। সূত্রের খবর, সেই মোতাবেকই পূর্ব লাদাখের (eastern ladakh) গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ (Gogra Hotsprings) এলাকার ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পোস্ট (patrolling point) থেকে সরল (disengagement) ভারত (india) ও চিনের (china) সেনা (army)। যদিও ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডেকে অন্য় একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, 'আমাকে গিয়ে পরিস্থিতির খতিয়ান নিতে হবে। তবে যা ঠিক হয়েছিল সে রকমই চলছে।'
কী জানা গেল?
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, একেবারে পরিকল্পনামাফিকই পূর্ব লাদাখের গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণের ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। শুধু তাই নয়। নিয়ম মেনে দু-পক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের যে বিন্দুগুলি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার সবকটির সমাধান পাওয়া গিয়েছে। বাকি ছিল এটিই। সূত্রের খবর, পিপি-১৫ তো বটেই, গোটা পূর্ব লাদাখ সেক্টর থেকেই সেনা সরানোর ব্যাপারে তদ্বির করছিল বেজিং। যদিও নয়াদিল্লির কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না।
প্রেক্ষাপট...
২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরে দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শান্তি ফেরাতে তার পর থেকে দফায় বৈঠক হলেও আলোচনা খুব বেশি ফলপ্রসূ হয়নি বলেই দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। তার উপর এলএসি লাগোয়া এলাকায় চিনা লালফৌজের নানা ধরনের নির্মাণের খবরে জল্পনা দানা বাঁধে। সব মিলিয়ে ডিএসক্যালেশন এবং ডিএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া গত দু-বছরে খুব বেশি এগোয়নি। তবে গোগরা হট স্প্রিংয়ের সেনা প্রত্যাহারের খবরে সেই জট কাটার আশা তৈরি হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতি দিয়ে বলেন, 'গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় দু-তরফই যে অস্থায়ী নির্মাণ করেছে, তা ভেঙে ফেলা হবে। বিষয়টি ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তা দু-পক্ষই পরখ করে নেবে। স্ট্যান্ড-অফের আগে ওই এলাকার যা গঠন ছিল, তাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।' তার পর দিনই আবার লাদাখ সফরে যান ভারতের সেনাপ্রধান। সব মিলিয়ে বড়সড় কিছু একটা বদলের আঁচ মিলছিলই।
সরকারি সূত্রের খবর সত্যি হলে বাস্তবেই গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শেষ করল দুই দেশ। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলবে কবে? সেটার উত্তর অবশ্য এখনও অজানা।
আরও পড়ুন:দলীয় বিধায়ককে 'বাধা', অবরোধস্থলে এসে পড়া তৃণমূলী প্রধানকে মারধর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের