নিউ দিল্লি : লাদাখে চিনা সেনার কার্যকলাপের উপর নজর রাখছে ভারত। সম্প্রতি সেখানে অনুশীলন শুরু করেছে তারা। সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনা প্রধান এম এম নারাভানে। তবে, প্যাংগং হ্রদ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর এখনও পর্যন্ত চিনের তরফে "সীমা" লঙ্ঘন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।


ভারতীয় সেনা প্রধান আশা প্রকাশ করে বলেছেন, অন্যান্য এলাকাতেও সমস্যার সমাধানে দুই পক্ষ এগিয়ে আসবে। এখনও পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আন্তরিকতা দেখানো হয়েছে। কিন্তু, পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে কোনও গতিপ্রকৃতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনা।


সেনা প্রধান জানান, ফেব্রুয়ারি সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে কোনও আগ্রাসন বা লঙ্ঘনের বিষয় নেই। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা কথা বলছি। আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি মনে করি, উভয়পক্ষের মধ্যে বিশ্বাস গড়ে উঠেছে। এই বিশ্বাসের উপর ভরসা করেই আমরা অন্য যেসব এলাকায় এখনও সমস্যা রয়েছে, সেখানে তার সমাধানের চেষ্টা করব। 


প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাস থেকে পূর্ব লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন নিয়ে ভারত-চিন সম্পর্কে চাপানউতোর শুরু হয়। এরপর সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বার আলোচনা হয় উভয়পক্ষের মধ্যে। শেষমেশ সমঝোতায় পৌঁছায় দুই পক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত থেকে সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নেয় ভারত-চিন। বাকি অংশের জটিলতা মেটানোর জন্য উভয়পক্ষ এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।


এদিকে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা নিয়ে সেনা প্রধান বলেন, "অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সমস্ত সহযোগিতে দিতে ভারতীয় সেনা প্রস্তুত। আমরা মানুষের সেনা, মানুষের জন্য সেনা। জাতীয় দুর্যোগের সময় আমরা এভাবে সহায়তা দিয়ে থাকি। এব্যাপারে আমরা ভালভাবে তৈরি। তিন সশস্ত্র বাহিনী এব্যাপারে একযোগে কাজ করছে। " 


তিনি জানিয়েছেন, বাহিনীর ৯০ শতাংশকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এটা ৯৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে।