Indian Army: লড়াই এখন সাইবার দুনিয়ায়! চিন-পাকিস্তানকে রুখতে নয়া ইউনিট ভারতীয় সেনার
Cyber Warfare: শত্রু দেশের তথ্য হাতানো এখন যুদ্ধেরই একটি অংশ। ভারতের ক্ষেত্রেও বিষয়টি আলাদা নয়।
নয়াদিল্লি: মিসাইল, আধুনিক ট্যাঙ্ক, রকেট লঞ্চার থেকে পারমাণবিক বোমার ভাণ্ডার। যুদ্ধের জন্য রয়েছে নানা আধুনিক অস্ত্র। কিন্তু এখন লড়াইয়ের আরও একটি ময়দান তৈরি হচ্ছে। তা হল সাইবার দুনিয়া। বলা হয়ে থাকে এখন যার কাছে যত বেশি তথ্য, সে তত বেশি ক্ষমতাশালী। তাই শত্রু দেশের তথ্য হাতানো এখন যুদ্ধেরই একটি অংশ। ভারতের ক্ষেত্রেও বিষয়টি আলাদা নয়।
ভারতের সরকার বা সেনা সংক্রান্ত গোপন তথ্য হাতানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান ও চিন। বারবার তা হাতেনাতে প্রমাণও হয়েছে। অভিযোগও উঠেছে। ভারতীয় নাগরিকদের তথ্য় চুরির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে। সেই কারণে দফায় দফায় একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। শুধু ভারতই নয় বিশ্বের নানা দেশের বিরুদ্ধে চিনা সাইবার অ্যাটাকের অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের তথ্য় চুরির অভিযোগ উঠেছে।
সাইবার হানা ঠেকাতে নয়া ইউনিট:
এই পরিস্থিতিতে ভারতের সাইবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করছে ভারতীয় সেনা। সাইবার হানার ঠেকাতে স্পেশাল ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সেনা অধিনায়ক বা আর্মি কমান্ডার কনফারেন্সে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ANI সূত্রের খবর, সরকারের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সাইবার দুনিয়ায় ভারতকে সুরক্ষিত রাখতে Command Cyber Operations and Support Wings (CCOSW) তৈরি করা হয়েছে। আরও জানান হয়েছে যে এখন গ্রে জ়োন ওয়ারফেয়ার এবং প্রচলিত যুদ্ধ পদ্ধতিতে সাইবার দুনিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যেহেতু শত্রুপক্ষ তাদের শক্তি বাড়াচ্ছে, তাই ভারতকেও তৈরি থাকার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
নতুন ইউনিট ভারতের সব বাহিনীর সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করবে। সেনার তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং সাইবার হানার থেকে বাঁচাতে কাজ করবে। গত কয়েকবছর ধরেই এই বিষয়টিতে ক্রমশ নজর বাড়াচ্ছে সেনা। শত্রু দেশের তরফে হ্যাকিং এবং হানি ট্র্যাপিংয়ের মাধ্য়মে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যা রুখতে কাজ চলছে।
বারবার অ্যাপ ব্যান:
২০২০ সালের ২৯ জুন সীমান্ত সংঘাত (India-China Conflict) চলাকালীন ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। তার পর ২০২০-র আগস্টে ৪৭টি, ২০২০-র সেপ্টেম্বরে ১১৮টি এবং ওই বছর নভেম্বরে আরও ১৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২২ সালেও কয়েকধাপে একাধিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: একটুকরো পাতিলেবুতে ফিরবে ভাগ্য, মিটবে অর্থনৈতিক সমস্যা