নয়াদিল্লি: ভারত চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গতকাল, শুক্রবার এই খবর জানান, সেনা প্রধান এম এম নারাভানে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছে সীমান্তে চিনা সেনার কার্যকলাপের উপরও নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন যে প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরানো হয়নি। ভারত চায় ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের অবস্থায় ফিরে আসুক।


সেনা প্রধানের কথায়,  ভারত চিনকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে উভয় পক্ষের পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই সেনা সরানো হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখে ৫০ থেকে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চিন। ফলে পাল্টা সেনা মোতায়েন করছে ভারতও। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ধরে দেপসাং, গোগরা অন্যান্য পয়েন্টে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাইছে ভারত।


এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এম- এম নারাভানে বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছে। তবে আলোচনার প্রক্রিয়ায় এই আস্থার বিষয়টি বাধা হওয়া উচিত নয় বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। দিনকয়েকের মধ্যে ফের বৈঠকে বসবে দুপক্ষ। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে যা ১২তম বৈঠক। করোনার জেরে এই বৈঠক পিছিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।


উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশ এবং চিন সীমান্তে প্রস্তুতি দেখতে সেখানে যান সেনা প্রধান এম এম নারাভানে। অরুণাচল প্রদেশের নর্দান বর্ডার নাগাল্যান্ডের দিমাপুরে গত ২০ মে যান তিনি। উত্তর পূর্ব অঞ্চলে সতর্কতা অবলম্বনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা দেখতেই তিনি যান বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে ভারত চিন সীমান্তে অব্যাহত সমস্যা।


উল্লেখ্য, গত বছর ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চিন সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ দিতে হয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানকে৷ জানা যায়, ভারতীয় সেনার আরও ৭৬ জন জওয়ান আহত হয়েছেন। এরপরই সেনার তরফে জরুরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণের পথ কী তা নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখনও কমেনি সেই চাপানউতোর।