পদ্মাবতীকে বলা হত গড মাদার অফ কার্ডিওলজি। করোনার উপসর্গ নিয়ে ১১ দিন আগে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হতে থাকে। ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটের সিইও ও পি যাদব বলেছেন, ডঃ পদ্মাবতীর দুটি ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। সেটাই তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে।
১০৩ বছরের চিকিৎসক আমৃত্যু কাজ করে গিয়েছেন হৃদরোগ সংক্রান্ত চিকিৎসা পরিষেবায়। শতবর্ষে পা দিয়েও ২০১৫ পর্যন্ত দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে সপ্তাহে পাঁচদিন করে কাজ করে গিয়েছেন পদ্মাবতী। ১৯৮১ সালে তিনি গ়ড়ে তোলেন এই প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৫৪ সালে লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে উত্তর ভারতের মধ্যে প্রথম কার্ডিও ক্যাথারাটাইজেশন ল্যাবরেটরি তিনিই গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৬৭ সালে মৌলানা আজাদ মে়ডিক্যাল কলেজের ডিরেক্টর-প্রিন্সিপাল পদের দায়িত্ব নেন। একাধারে আরউইন ও জি বি পন্থ হাসপাতালের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। কার্ডিওলজিতে ডিএম কোর্সও তিনিই প্রথম চালু করেছিলেন। করোনারি কেয়ার ইউনিট, করোনারি কেয়ার ভ্যানের ভাবনাও ভারতে তাঁরই মস্তিস্তপ্রসূত। ১৯৬২ সালে অল ইন্ডিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতেও জড়িয়ে আছেন স্বনামধন্য এই চিকিৎসক।
১৯১৭ সালে তৎকালীন বার্মার মাগইউ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তারপরের সবটাই ইতিহাস। তাঁর পথ চলা বহু মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। ভারতের কার্ডিওলজি সমন্ধে তখনও তেমন কিছু জানতেন না মানুষ। কিন্তু সেই আমলেও এস আই পদ্মাবতী কার্ডিলজি চিকিৎসার সঙ্গে সমার্থক হয়ে ওঠেন। ১৯৬৭ সালে পদ্মভূষণে ভূষিত হন ডঃ এস আই পদ্মাবতী। ১৯৯২ সালে পদ্মবিভূষণে তাঁকে সম্মানিত করে কেন্দ্রীয় সরকার।