বেঙ্গালুরু: মাঝ আকাশে শুরু হয়েছে প্রসব বেদনা। যন্ত্রণা বাড়ছে, অন্তঃসত্ত্বা দাঁড়াতে পারছেন না। এই সময় দেবীর মতই এগিয়ে এলেন চিকিৎসক শৈলজা বল্লভানেনি। বিমানের বাথরুমের মধ্যে প্রসব করালেন তিনি।


শৈলজা বেঙ্গালুরুর ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের ক্লাউডনাইন গ্রুপ অফ হসপিটালসের সঙ্গে যুক্ত। দিল্লি যাওয়ার জন্য ৭ তারিখ বিমানে ওঠেন তিনি। বিমান ছাড়ার মিনিট পনেরোর মধ্যে মণিকা নামে মধ্য তিরিশের এক মহিলার প্রসব বেদনা শুরু হয়। তিনি বিমানকর্মীদের সে ব্যাপারে জানান। বিমানে ছিলেন নাগরাজ নামে এক প্লাস্টিক সার্জন, তিনি মণিকাকে প্রাথমিকভাবে সাহায্য করেন, বলেন, সম্ভবত হজমের গোলমালের জন্য তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয়েছে।

কিন্তু মণিকার ব্যথা বাড়তে থাকে। ভয় পেয়ে বাথরুমের দিকে হাঁটেন তিনি। সে সময় শৈলজা দেখতে পান, তাঁর রক্তপাত হচ্ছে। কেবিন ক্রুদের জানিয়ে তিনিও তৎক্ষণাৎ রওনা দেন বাথরুমের দিকে।  ভ্রূণের মাথা ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছে। বাথরুমের মধ্যেই প্ল্যাসেন্টা দিয়ে পুশ করে শিশুটির প্রসব ঘটান তিনি।

বিমানসেবিকাদের সার্ভিং টেবিলে রাখা হয় সদ্যজাতকে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে কাঁচি পরিষ্কার করে কাটা হয় নাড়ি।  গজ দিয়ে বাঁধা হয় সদ্য কাটা নাড়ি। শৈলজা বলেন, শিশুটি হাতে নিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, সে প্রিম্যাচিওর, ৩২-৩৪ সপ্তাহে জন্মেছে। তবে জন্মের পরেই কেঁদে ওঠে, তার ওজন হয়েছে ১.৮ কেজি থেকে ২ কেজির মধ্যে।

মা-শিশু দুজনেই ভাল আছেন। শৈলজাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়েছে তাঁদের পরিবার।