উইন্ডোহেক: নামিবিয়ায় একসঙ্গে প্রায় সাত হাজার ফার সিল মারা যাওয়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ পরিবেশবিদদের। এর আগে নামিবিয়ার ওশেন কনজারভেশন চ্যারিটির সঙ্গে যুক্ত পরিবেশবিদ নডে ড্রেয়ার সেপ্টেম্বরে কয়েকটি সিলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ওয়ালভিস বে শহর সংলগ্ন পেলিকান পয়েন্ট কলোনিতে সমুদ্র সৈকতে কিছু মৃত সিল দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। এর ছবিও চ্যারিটি সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন।
অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে কলোনিতে সিলের প্রচুর পরিমাণে ভ্রুণ দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। নামিবিয়ান ডলফিন প্রোজেক্টের টেস গ্রিডলির অনুমান, প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার সিল মারা গিয়েছে। এই ঘটনাকে চ্যারিটি দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই সময় জন্ম হতে চলা সিল শাবকদের অ্যাডাপ্টেশনের প্রয়োজন হয়।
ডলফিন প্রোজেক্টের গ্রিডলি বলেছেন, সিল নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে শাবকের জন্ম দেয়। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার সিলের গর্ভপাত হয়েছে এবং এর খোঁজ এখনও মিলছে।


এত সংখ্যায় মৃত সিলেগুলির মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও সঠিকভাবে কিছু জানা যায়নি। বিজ্ঞানীদের অনুমান, পুষ্টির খামতি বা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ এর কারণ হতে পারে। এই কারণেই কলোনিতে এত সংখ্যায় স্ত্রী সিল ও শাবকের মৃত্যু হয়েছে।
গ্রিডলি বলেছেন, মৃত সিলগুলির বেশিরভাগকেই খুব দুর্বল মনে হয়েছে। এমনটা সাধারণত হয় না। কারণ সিলের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জমা থাকে। এরই ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা নমুনা সংগ্রহ করছেন। এর আগে ১৯৯৪-তে প্রায় ১০ হাজার সিল সৈকতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সেইসঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার ভ্রুণ। অপুষ্টি ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এর কারণ ছিল বলে জানানো হয়েছিল।