ঢাকা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শোকবার্তায় বলেছেন, ‘প্রতিভাবান এই শিল্পীর প্রয়াণে অভিনয় জগতে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মের মধ্যে দিয়েই মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।’


পশ্চিমবঙ্গের মতোই বাংলাদেশেও জনপ্রিয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দুই বাংলাতেই তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। ফলে আজ তাঁর প্রয়াণে কলকাতার মতোই ঢাকার শিল্পীমহলেও শোকের ছায়া।

আজ বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে জীবনাবসান হয় সৌমিত্রবাবুর। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৬ অক্টোবর বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন এই প্রবীণ অভিনেতা। পরে করোনামুক্ত হলেও দেখা দেয় অন্যান্য সমস্যা। চলছিল জীবন-মৃত্যুর লড়াই। শেষপর্যন্ত, ৪০ দিনের মাথায় আলোর উত্সবের মধ্যেই নিভে গেল তাঁর জীবন-দীপ।

এই প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যুর খবর পেয়েই ট্যুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘ফেলুদা আর নেই। চিরবিদায় জানালেন অপু। বিদায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। জীবদ্দশায় একজন কিংবদন্তী। আন্তর্জাতিক, ভারতীয় এবং বাংলা সিনেমা জগত একজন মহান ব্যক্তিত্বকে হারাল। হৃদয় থেকে তাঁর অভাব অনুভব করব। বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ অভিভাবকহীন হল।’

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি লেখেন, ‘সৌমিত্র চট্টোপাধায়ের প্রয়াণ চলচ্চিত্র জগৎ, পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর কাজের মধ্যে বাঙালির চেতনা, ভাবাবেগ ও নৈতিকতার প্রতিফলন পাওয়া যায়। তাঁর প্রয়াণে আমি শোকাহত। শ্রী চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাই।’