ম্যানিলা: ফিলিপিনসের নামজাদা সুন্দরী ক্রিস্টিন অ্যাঞ্জেলিকার দেহ মিলল হোটেলের বাথটবের মধ্যে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গণধর্ষণের পর তাঁকে খুন করা হয়েছে।

নিউ ইয়ার্স ইভে ২৩ বছরের ক্রিস্টিনের লাশ পাওয়া যায় ফিলিপিনসের মকাতি শহরের এক চার তারা হোটেলের বাথরুমের বাথটবে। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে নতুন বছর সেলিব্রেট করতে তিনি ওই হোটেলে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর শরীরে আঘাতের দগদগে দাগ রয়েছে। ধারালো কোনও বস্তু দিয়ে বারবার তাঁকে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের জন্য দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, ময়না তদন্তেই জানা যাবে ঠিক কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, জানিয়েছে পুলিশ।

ক্রিস্টিনের মা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। ফিলিপাইন প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতার্তের কাছে বিচার চেয়েছেন তিনি। তাঁদের দাবি, তাঁদের মেয়ের প্রথম ময়না তদন্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ এসেছে, তাই তাঁরা দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের দাবি করেছেন। তদন্তকারীদের নিশানায় উঠে এসেছেন ১১ জন অভিযুক্ত, এঁদের মধ্যে ৩ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে জেরা করা শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদের সন্ধান করছে পুলিশ বাহিনী। দেশ জুড়ে হইচইয়ের মধ্যেই ৩ অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা তিনজনেই দাবি করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকে সমকামী, ক্রিস্টিনের প্রতি তাই তাঁদের কোনও আকর্ষণ ছিল না, ফলে তাঁকে ধর্ষণের প্রশ্ন ওঠে না। তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ফিলিপিনসের মানুষরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রিস্টিনের ছবি পোস্ট করে এভাবে তাঁর হত্যার বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা। ফিলিপিনসের টুইটারে ট্রেন্ড করছে #justiceforchristinedacera হ্যাশট্যাগ।

ক্রিস্টিনের জন্ম দবাও শহরে, ২০১৭-য় তিনি মিস সিলভা দবাও প্রতিযোগিতায় রানার আপ হন। আবার ২০১৯-এ মাটিয়া এনজি দাবো প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে যান তিনি। জীবনের শেষ দিনগুলিতে তিনি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে ফিলিপিনস এয়ারলাইন্সে কাজ করছিলেন।