ইতালি থেকে ফোনে এবিপি আনন্দকে পেশায় ফ্লাওয়ার ডিজাইনার এই বঙ্গসন্তান বললেন, ‘করোনার প্রকোপ অনেকটা কমলেও, এখনও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তাই বড় করে অনুষ্ঠান করতে পারল না সরকার। গতকাল আমাকে স্থানীয় প্রশাসন জানায়, কোনও লোকজনকে এই অনুষ্ঠানে থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে না। আমার সঙ্গে শুধু পরিবারের একজন যেতে পারবেন। আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাই। মেয়েরও আমাদের সঙ্গে যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ওকে নিয়ে যেতে পারলাম না। কাউন্সিলর আমাকে বললেন, ‘একজন বিদেশি হয়েও তুমি যেভাবে আমাদের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছো, তার জন্য আমরা গর্বিত। তোমাকে ধন্যবাদ।’ আমি আজ যে সম্মান পেলাম, সেটা গোটা বাংলার। আমার খুব ভাল লাগছে।’
ইতালিতে করোনার প্রকোপ যখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল, তখন চোখের সামনে মৃত্যুমিছিল দেখে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বাংলার মানুষকে বারবার সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিপ্লব। তিনি এবিপি আনন্দকে আরও জানান, ‘লকডাউনের শুরুর দিকে আমি একদিন সুপারমার্কেট থেকে ফেরার সময় দেখতে পাই একজন বয়স্ক মহিলা হাতে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। তাঁকে সাহায্য করি। তিনি আমাকে আশীর্বাদ করেন। এরপর থেকেই শহরের সব বয়স্ক মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করি। তাঁদের বাজার করে দিই। সবাই আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। তখনই একদিন কাউন্সিলর এসে আমাকে বলেন, ‘একজন বিদেশি হয়েও তুমি যে কাজটা করলে, সেটা ইতালির কেউ করেনি। তুমি এই কাজের স্বীকৃতি পাবে। লকডাউন উঠে গেলে তোমাকে রোমে যেতে হবে। সেখানে তোমাকে সম্মান জানানো হবে।’ রোমে এই অনুষ্ঠানটা হলে আরও ভাল লাগত।’