বেজিং: পিপিই সুট পড়েই চরম ক্লান্তিতে গা এলে পড়েছে চেয়ারে। কেউ বা একইরকম বেশ চাপিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন পার্সেলের প্যাকেটের উপর। চিনের বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের নতুন যে ছবি দেখে নতুন করে আঁতকে উঠছে গোটা বিশ্ব।


চিনের সিজাহুং-র এক হাসপাতালের এক ভিডিওতে ধরা পড়েছে সেখানকার হাসপাতালের করোনাযোদ্ধারা ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত ছবি। কিছুদিন আগেই চিনে ধরা পড়েছে ইউকে-র নয়া স্ট্রেন, তারপর থেকেই নতুন করে গোটা চিন জুড়ে তুঙ্গে উঠেছে তৎপরতা।

গত বছর চিনের উহান থেকেই প্রথম ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস। গোটা বিশ্ব এখনও যে ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। লকডাউনে থাকার পর নিউ নর্মালে মানিয়ে নিয়ে চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ। ভ্যাকসিনের সুবাদে করোনা অতিমারীকে রোখার প্রত্যাশায় গোটা বিশ্ব। তার আগেই ব্রিটেনে করোনার নতুন স্ট্রেন ধরা পড়ায় ফের বিশ্বজুড়ে ঘনিয়েছে আশঙ্কার নতুন মেঘ।

উত্তর চিনের হেবেই প্রদেশে স্বাস্থ্য দফতরের এক লহমায় বেড়ে গিয়েছে ব্যস্ততা। শুধু পরীক্ষাই নয়, সন্দেহজনক কাউকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠিয়ে রাখা হচ্ছে আইসোলেশনেও। দেশব্যাপী যে ব্যস্ততার মাঝে চাপের বহর বাড়ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর।

একটা যুদ্ধ সমাপ্তির আগেই যেন নতুন করে ফের আর একটি লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে তাঁদের। চিনের স্বাস্থ্য দফতরের খবর জানাচ্ছে, এখন নতুন করে ১২৭টি অ্যাক্টিভ রোগী পাওয়া গিয়েছে। আরও ১৮৩জন উপসর্গহীনকে রাখা হয়েছে আইসোলেশনে। দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে গত পাঁচ মাসের নিম্নমুখী গ্রাফ ফের একবার ঊর্ধ্বমুখী চিনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে।



যে সিজাহুং প্রদেশের হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে, সেখানে নতুন করে যাতায়ার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চিন সরকার। একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে জিংটাং শহরেও। দুই শহরের প্রায় ৭০ লক্ষ বাসিন্দাদের অনেকেই আবার লকডাউনের জেরে গৃহবন্দি।

এর মাঝেই চলতি সপ্তাহে চিনে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) একটি প্রতিনিধিদল। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন-র প্রতিনিধিরা ১৪ জানুয়ারি চিনের পৌঁছে যাবেন উহান প্রদেশে। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল ঠিক কোথায়, তা খতিয়ে দেখবেন তারা।