লকডাউন কেউ উপেক্ষা করলেই সঙ্গে সঙ্গে রোবোকপ চিত্কার করে বলছে, ‘এই করছটা কী ?তোমার আইডি-টা দেখাও তো। জানো না, এখন লকডাউন চলছে?’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা ইমেজ ও সাউন্ডট্র্যাকে তা দেখা গিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ থেকে তিউনেশিয়ায় চলছে রাত্রিকালীন কার্ফু। গত ২২ মার্চ থেকে কর্তৃপক্ষ কঠোর লকডাউন নির্দেশিকা জারি করেছে।
গত ২ মার্চ থেকে উত্তর আফ্রিকার এই দেশে করোনা সংক্রমণে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪৫৫ জনের টেস্ট পজিটিভ এসেছে।
ওই রোবট তিউনেশিয়ার যে ব্যক্তির সৃষ্টি, সেই আনিস সাহবুনি বলেছেন, মেশিনটি প্রমথ তৈরি হয়েছিল ২০১৫-তে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত টহলদারির জন্যই তা তৈরি করা হয়েছিল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এই রোবট।
সাবহানির ইনোভা রোবটিকস ফার্ম তৈরি করেছিল ওই বোবট। খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ থেকে ১.৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার। বেশিরভাগই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজের জন্য বিদেশী সংস্থাগুলি কিনেছে।
দেশের পূর্বপ্রান্তের শহর সৌসের এই কোম্পানি জানিয়েছে, তিউনেশিয়ার একটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য আরও একটি রোবট মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আপাতত লকডাউনের দেখভালের জন্য নিযুক্ত পিগার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগাম রেকর্ড করা কণ্ঠস্বরে ওই রোবট বলছে- আইন মেনে চলুন...ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে বাড়িতেই থাকুন এবং মানুষের জীবন রক্ষা করুন।