ব্রিটেন:  বড়দিনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে উল্লাস, পার্টি বা কেনাকাটি নয়,ঘরে থাকার পরামর্শ দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আপাতত লন্ডন ও দক্ষিণপূব ইংল্যান্ডের বাসিন্দাদের জন্য তাঁর এই পরামর্শ।রবিবার থেকে জারি হয়েছে এই নয়া নির্দেশিকা।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন করোনা ভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেন এসেছে যা আরও মারাত্মক। রবিবার টেলিভিশনের এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন আগের চেয়েও এই নতুন ধরনের ভাইরাস ৭০ শতাংশ বেশি দ্রুত গতিতে ছড়ায়। ফলে সংক্রমণে রাশ টানতে উপায় একটাই। তিনি বলেছেন, ’’ লন্ডন এবং দক্ষিণপূর্ব ইংল্যান্ডের বাসিন্দাদের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ভাবে বাড়িতে থাকতে হবে।‘‘ প্রধানমন্ত্রীর বার্তাতেই স্পষ্ট ক্রিসমাসে অন্যের বাড়িতে যাওয়া, হুল্লোড়ে করার সুযোগ থাকছে না। ব্রিটেনের সরকার চাইছে যে অঞ্চলে করোনার ভাইরাসের এই নয়া স্ট্রেন এখনও তেমন ভাবে থাবা বসাতে পারেনি, সেখানে সংক্রমণে লাগাম পরানো।

আগের করোনা ভাইরাসে যেসব বিধি জারি করা হয়েছিল তা এক্ষেত্রে তা যথেষ্ট কার্যকর নয় বলেই মনে করছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

গত সপ্তাহের ঘোষিত অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন বরিস। গত সপ্তাহেই তিনি জানিয়েছিলেন ক্রিসমাস উৎসব পালনে মানুষকে বাধা দিলে তা হবে  অমানবিক। তবে ছোটখাট করে উৎসব পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ক্রিসমাসের মাত্র দিন কয়েক আগেই তার এই অবস্থান বদলে বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন লন্ডনবাসীও। অবস্থান পাল্টে বরিস বলেছেন, ’’ গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, যে ভাবে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম সে ভাবে ক্রিসমাস পালনের উৎসবে আমরা যোগ দিতে পারছি না।‘‘

সরকারের বিজ্ঞান বিষয়ক মুখ্য উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভালেন্স জানিয়েছেন আগের বারের চেয়ে এই ভাইরাস দ্রুতহারে ছড়ায়। যা অবশ্যম্ভাবী ভাবে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়াবে। শনিবার ব্রিটেনে ২৭,০৫২জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত শুক্রবারের চেয়ে সামান্য কম।

রবিবার থেকেই ঘরবন্দির এই নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর, ক্রিসমাসের দিনে বাছাই করা জায়গায় কিছু নির্দিষ্ট জমায়েত অনুমোদন করা হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। কেন্ট, বার্মিংহামশেয়ার, বার্কশেয়ারে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন জিনিসের দোকান, জিম, সিনেমা হল, ক্যাসিনোস, হেয়ার ড্রেসার, নেল বার-সহ আরও কিছু পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান জানিয়েছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এত সঙ্কটপূর্ণ ক্রিসমাস কখনও আসেনি।