নয়াদিল্লি: করোনার ওষুধ বা টিকা বার হলেই মানবজাতির জীবনে দুর্বিপাক যে শেষ হয়ে যাবে এমনটা নয়। জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। World Health Organization বা WHO জানাচ্ছে, মানুষের স্বাস্থ্যোন্নতির আশা আর নেই, যদি না আমরা পরিবেশ পরিবর্তন রুখতে পারি, জীবজন্তুকে না বাঁচাতে পারি।
আজ হল অতিমারী মোকাবিলায় প্রথম আন্তর্জাতিক দিবস বা International Day of Epidemic Preparedness। WHO ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাস বলেছেন, যেভাবে শুধু টাকা খরচ করে অতিমারী দমনের চেষ্টা চলছে অথচ আগামী সঙ্কটের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা বিপজ্জনকরকম অদূরদর্শী কাজ। করোনা অতিমারী থেকে শেখার এটাই সঠিক সময়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব শুধু একের পর এক আতঙ্ক ও তারপর অবহেলা দেখে এসেছে। করোনা অতিমারীর কয়েক মাস আগে প্রকাশিত হয় The Global Preparedness Monitoring Board-এর প্রথম বার্ষিক রিপোর্ট। তাতেও বলা হয়, ভয়ঙ্কর চেহারা নিতে চলা কোনও অতিমারীর মুখোমুখি এই বিশ্ব একেবারেই প্রস্তুত নয়।
ইতিহাস বলছে, এটাই শেষ অতিমারী নয়, মহামারী-অতিমারী জীবনেরই অংশ। ঘেব্রেসাস বলেছেন।
যদি মানুষ ও জীবজন্তুর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে, পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা না হয়, তবে মানব স্বাস্থ্যের উন্নতির সব চেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। বলেছেন তিনি। করোনা গোটা বিশ্বকে পুরোপুরি উল্টে দিয়েছে, এর প্রভাব এই অসুখের থেকেও সুদূরপ্রসারী, সমাজ ও অর্থনীতির ওপর এর দীর্ঘ প্রভাব পড়বে। কিন্তু এই অতিমারী আমাদের কাছে আচমকা আসেনি, বারবার এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে সব দেশের অতিমারী রোখা, তা সনাক্ত করা ও জরুরিকালীন ব্যবস্থা নিতে সবরকম ভাবে বিনিয়োগ করা উচিত, আরও উন্নত করা উচিত প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। তিনি বলেছেন।